• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অসন্তোষ ছাপিয়ে উন্নয়নের আশাবাদ খুলনায়


খুলনা প্রতিনিধি মে ১৮, ২০১৮, ১২:২৬ এএম
অসন্তোষ ছাপিয়ে উন্নয়নের আশাবাদ খুলনায়

খুলনা : সদ্য সমাপ্ত খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচন নিয়ে খুলনার রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সচেতন মহল ও নাগরিকদের মধ্যে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কিছু বিষয়ে অসন্তোষ থাকলেও নির্বাচনের সামগ্রিক পরিবেশ এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় নগরীতে কাক্সিক্ষত উন্নয়নের ব্যাপারে আশাবাদী সবাই।  

জাল ভোট প্রদান, ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো, প্রতিপক্ষের পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়াসহ কেসিসি নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। তাই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ বলার সুযোগ পাচ্ছেন পরাজিত প্রার্থীদের দল ও সমর্থকরা। তবে এসব অনিয়ম না হলেও কেসিসি নির্বাচনের ফল পরিবর্তনে কোনো প্রভাব পড়ত না বলে মনে করে নগরীর সুশীল সমাজ।  

কেসিসি নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে বল প্রয়োগের মাধ্যমে প্রবেশ করে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে নির্বাচন কমিশন তিনটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে। তবে নির্বাচনে বড় ধরনের কোনো সংঘাত-সহিংসতা হয়নি। সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের খুলনা কমিটির সম্পাদক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই-খুদা বলেন, নির্বাচনের আগে প্রধান দুই দলের প্রার্থীর মধ্যে বাগযুদ্ধে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে এক ধরনের শঙ্কা ও ভীতি কাজ করছিল। তবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের দিন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিদ্যমান থাকায় সব ভীতি ও শঙ্কা কেটে যায়।

তিনি বলেন, বিচ্ছিন্নভাবে কিছু অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের বাহ্যিক ভূমিকা ভালো থাকলেও কোথাও কোথাও ভোটকেন্দ্রের ভেতরে তা সন্তোষজনক ছিল না। তবে বিচ্ছিন্ন ঘটনা না ঘটলেও তালুকদার আবদুল খালেকই জয়ী হতেন বলে মনে করেন তিনি।  

নারী নেত্রী শামীমা সুলতানা শীলু বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থীই যোগ্য। কিন্তু ভোটারদের কাছে মনে হয়েছে যিনি উন্নয়ন করতে পারবেন, যিনি বাজেট বরাদ্দ করাতে পারবেন, সেই প্রার্থীকে ভোট দেবেন। সেভাবেই ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করেছেন। অতি উৎসাহী কিছু কর্মীর জন্য বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ঘটলেও নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি ছিল ভালো। তার আশা নগরবাসীর প্রত্যাশার উন্নয়ন এবার হবে।  

উন্নয়ন কর্মী স্বপন কুমার গুহ মনে করেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৬টি ওয়ার্ডের কয়েকটি কেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছে, যা কারো জানা ছিল না। কিছু কাউন্সিলর প্রার্থী জেতার জন্য পরিকল্পিতভাবে জাল ভোট দিয়ে বাক্সে ঢুকিয়েছেন। তবে সহিংসতার কোনো ঘটনা ঘটেছে এমন খবর জানা যায়নি। পর্যবেক্ষক হিসেবে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের অনেক কেন্দ্র পরিদর্শন করে তার মনে হয়েছে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া সার্বিকভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

স্বপন কুমার গুহ বলেন, নির্বাচিত মেয়র সবার পরিচিত। বিগত দিনে মেয়র থাকাকালীন তার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নগরবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। তাই এবারের নির্বাচনে ভোটাররা তার ওপর আস্থা রেখে তাকে নির্বাচিত করেছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!