• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আবার গিটার ধরেছেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয়


নিউজ ডেস্ক এপ্রিল ১৬, ২০১৮, ০৭:৫৭ পিএম
আবার গিটার ধরেছেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয়

ঢাকা : কয়েক বছর বিরতি দিয়ে শখের গিটার আবার হাতে তুলে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তার শখের তালিকায় ফটোগ্রাফি, গান শোনা, অ্যাকশন ফিল্ম দেখা ও কম্পিউটারে গেমস খেলাও রয়েছে।

রোববার (১৫ এপ্রিল) ঢাকায় তরুণদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে জয় বলেন, ‘আমি স্কুল ও কলেজজীবনে গিটার বাজাতাম। সম্প্রতি আবার তা শুরু করেছি।’ আওয়ামী লীগ সমর্থক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) তাদের ‘লেটস টক’ কর্মসূচির আওতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সজীব ওয়াজেদ জয়ের বয়স ৪৬ বছর। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতকের পর হার্ভার্ড থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর করেন তিনি।

ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মতবিনিময়ে অংশ নিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছে তার ব্যক্তিগত জীবন থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নসহ নানা বিষয়ে প্রশ্ন করেন। তার শখের কথা জানতে পেরে অনুষ্ঠানে গিটার বাজাতে জয়কে চাপাচাপি করেন তরুণ-তরুণীরা। ‘ভালো বাজাতে পারি না’ বলে এড়িয়ে যান তিনি।

পরমাণু বিজ্ঞানী এমএ ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনার দুই সন্তানের মধ্যে বড় জয়ের জন্ম মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই অবরুদ্ধ ঢাকায়। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জয় মায়ের সঙ্গে ভারতে আশ্রয়ে ছিলেন। তার শৈশব-কৈশোর কেটেছে ভারতে।

নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে পড়েছেন তিনি। বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হওয়ার পর চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে উচ্চশিক্ষার পর বিয়ে করে স্থায়ী হয়েছেন তিনি। বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশে নেতৃত্বশীল ভূমিকা রেখেছেন তিনি। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ স্লোগান এসেছে তার হাত ধরেই।

অনুষ্ঠানে জয় বলেন, রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়ার চেয়ে তরুণদের সঙ্গে আলোচনায়ই বেশি ভালো লাগে তার। তরুণদের মানসিকতার পরিবর্তন করে গতানুগতিক চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হতে উৎসাহিত করেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশে ‘সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে’ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনকে ‘শক্তিশালী’ করেছে। দুদক নিয়ে এ বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি হিসেবে দলীয় সংসদ সদস্যদের কারাদণ্ড হওয়ার কথা তুলে ধরেন তিনি।

আর সুশাসন প্রতিষ্ঠার দাবি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের যদি সুশাসন না থাকত তাহলে নিজেদের অর্থায়নে আমরা পদ্মা সেতু কীভাবে করি?’ আওয়ামী লীগ কোনো সমালোচনাকে ‘ভয় পায় না’ মন্তব্য করে জয় বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যেকোনো সমালোচনার জবাব দিতে পছন্দ করে।’

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!