• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইউটিউবের পাশে দাঁড়ালেন শিল্পীরা


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক মে ১৪, ২০১৬, ০৯:২৬ পিএম
ইউটিউবের পাশে দাঁড়ালেন শিল্পীরা

কপিরাইট ও সম্মানীর বিতর্কে এবার ইউটিউবকে সমর্থন দিচ্ছেন অনেক শিল্পী। বিবিসি জানায়, গত মার্চে ইউটিউবের বিরুদ্ধে মিউজিক ভিডিও স্ট্রিমিং-এর ক্ষেত্রে অন্যান্য সাবস্ক্রিপশন মিউজিক সার্ভিসের তুলনায় "নামেমাত্র" সম্মানী প্রদান এবং কপিরাইট নীতিমালা অগ্রাহ্য করার অভিযোগ আনে রেকর্ডিং ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন অফ আমেরিকা।

সোমবার ক্রিস্টিনা আগুইলেরাসহ আরও কিছু শিল্পীর প্রতিনিধি মিউজিক ম্যানেজার আরভিং অ্যাজফ ওয়েবসাইটটির বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ আনেন। ইউটিউবের কাছে এক খোলা চিঠিতে তিনি বলেন, বেশি আয়ের জন্য শিল্পীরা তাদের গানগুলো ইউটিউব রেড পে-ওয়ালের অধীনে রাখতে চাইলে ইউটিউব তা অনুমোদন করে না।
এ ছাড়াও তিনি ইউটিউবকে ডিজিটাল মিলেনিয়াম কপিরাইট আইনের (ডিএমসিএ) সুযোগ নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করেন এবং ইউটিউব থেকে কপিরাইটেড মিউজিক সরিয়ে রাখার প্রচেষ্টাকে "অসম্ভব ও অর্থহীন ব্যয়বহুল প্রচেষ্টা" বলে অভিহিত করেন।

তিনি আরও বলেন, "শিল্পীরা যখন কোনোকিছু সরিয়ে নিতে চাইবেন, তখন তাই হওয়া উচিত। এসব অভিযোগের জবাবে ইউটিউব এই তুলনাকে "যাত্রী নিয়ে ক্যাব ড্রাইভারের আয়ের সংগে ট্যাক্সির গায়ে বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের তুলনা" বলে অভিহিত করে।

এক ব্লগ পোস্টে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বিজ্ঞাপন থেকে তাদের আয়ের ৫০ শতাংশেরও বেশি তারা কন্টেন্ট নির্মাতা এবং মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিকে দিয়ে থাকে। এতে আরও বলা হয়, যেখানে ইউটিউব ব্যবহারকারীরা মাসিক গড়ে এক ঘন্টা গান শুনে থাকে, সেখানে স্পটিফাই-এর ক্ষেত্রে এ সময়কাল গড়ে ৫৫ ঘন্টা। এ ছাড়াও এর কন্টেন্ট আইডি প্রযুক্তি কপিরাইটেড মিউজিক আপলোডের ঘটনায় ৯৯.৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যবস্থা নিয়ে থাকে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি। রেকর্ড প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে বিজ্ঞাপন থেকে আয় অথবা সাধারণ ব্যবহারকারীদের আপলোডকৃত অননুমোদিত ভিডিওগুলো সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানায় ইউটিউব।

প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিকে দেওয়া এর তিনশত কোটি ডলার-এর অর্ধকই আসে সাধারণ ব্যবহারকারীদের এসব "অননুমোদিত আপলোড" থেকেই। এই বিতর্কে ইউটিউবের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন অনেকেই। মি. অ্যাজফ-এর অভিযোগের জবাবে ইউটিউব বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম অনলাইন ভিডিও কনভেনশন ভিডকন-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ইউটিউবের কন্টেন্ট আইডি প্রযুক্তিকে রেকর্ড প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য লাভজনক হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, "তারা এই ভিডিওগুলো সরিয়ে নিতে পারে, অথবা তা থেকে তাদের আয়ের অংশ বুঝে নিতে পারে। এটি "অর্থহীন ব্যয়বহুল" প্রচেষ্টা নয়, এটি শতভাগ স্বয়ংক্রিয়।" ইউটিউবের কারণেই রেকর্ড প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়ে বড়সড় একটা অংক যোগ হচ্ছে বলে জানান তিনি। এ ছাড়াও ইউটিউবের বিজ্ঞাপনভিত্তিক স্ট্রিমিং থেকে শিল্পীরা সুবিধা পাচ্ছেন বলে জানান ইউটিউব ইভেন্টগুলোর নিয়মিত শিল্পী ডেভ গাইলস।

তিনি বলেন, "টেইলর সুইফট স্পটিফাই থেকে তার গানগুলো সরিয়ে নিয়েছেন, কিন্তু ইউটিউবে রেখে দিয়েছেন, এ ব্যাপারটি খেয়াল করার মতো। এটি যদি তার ক্যারিয়ারে সহায়ক না হতো, তবে তিনি অবশ্যই এখান থেকেও তা সরিয়ে নিতেন। স্পটিফাই হয়তো প্রতি স্ট্রিম ভিত্তিক বেশি সম্মানী দিয়ে থাকে, কিন্তু ইউটিউবে গ্রাহকসংখ্যা বেশি। তিনি আরও বলেন, "ফেইসবুকের তুলনায় অন্তত শিল্পীদের বেশি সম্মানী দিচ্ছে ইউটিউব। ইউটিউবের ক্ষেত্রে সোচ্চার হলেও ফেইসবুকের ক্ষেত্রে মি. অ্যাজফ চুপ কেন?"

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!