• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ইন্টারনেটে শিক্ষার্থীদের হয়রানি!


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬, ০৩:৪৩ পিএম
ইন্টারনেটে শিক্ষার্থীদের হয়রানি!

সোনালীনিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশে কমবয়সীদের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে সামাজিক বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের বিচরণ বেশি দেখা যায়। তার মধ্যে স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা কম নয়। কিন্তু বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে এমন ৪৯ শতাংশ স্কুল শিক্ষার্থী সাইবার বুলিং বা অনলাইন হয়রানির শিকার হচ্ছে। নরওয়েভিত্তিক বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিনরের নিরাপদ ‘ইন্টারনেট সমীক্ষা নামে’ নামে একটি জরিপের প্রতিবেদন এমনটাই উঠে এসেছে।

ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে ঠিক কি ধরনের হয়রানির মুখে পড়তে হয় তাদের? ঢাকার একটি ইংরেজির মাধ্যমের একজন শিক্ষার্থী আনিতা বলছিলেন, তিনি নিজেও অনলাইনে গালাগালির ঘটনার শিকার হয়েছেন। এসব বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই বেশি ঘটে বলে তিনি জানান।

আনিতা বলেন, আমার ক্ষেত্রে যেটি ঘটেছে, কেউ হয়তো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানোর পর তাকে বন্ধু তালিকায় যোগ করার পর হয়তো মোবাইল ফোন নম্বরটি চেয়ে বসলো। তখন সেটি না দিলে বা অ্যাভয়েড করলে তখন শুরু হয় গালি-গালাজ। তখন তো তাকে ব্লক করে দেয়া চাড়া আর উপায় থাকে না।

ব্লক করলেও অনেক সময় অন্য আরেকটি ফেক বা নকল আইডি তৈরি হয়তো আবার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হয় বলে জানান আরেকজন শিক্ষার্থী। একটি জেলা শহরের বাসিন্দা বলছেন, কেউ হয়তো ‘প্রপোজ’ করে বসলো। তখন তাকে ‘ইগনোর’ করলে সে হয়তো এমন ভাষা ব্যবহার করে সেটাকে বুলিং বলেই মনে হয়। এরকম ক্ষেত্রে ব্লক করেও লাভ নেই।

অপরিচিতদের দ্বারাই এটি বেশি ঘটে বলে তিনি জানান। আরেকজন শিক্ষার্থী রিফাত বলেন, অনেক সময় পোস্ট করা ছবির নিচে নানা ধরনের কমেন্ট করে অনেকেই যেগুলো হয়তো শ্লীলতা ছাড়িয়ে যায়। তখন বিষয়টি খুবই হয়রানিমূলক মনে হয়। আবার অনেক সময় বাজে ধরনের প্রস্তাবও দিয়ে বসে কেউ কেউ।

তবে এ ধরনের ঘটনা মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশি ঘটে এবং ছেলেরা কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থায় থেকে যায় বলে দাবি এই দুই মেয়ে শিক্ষার্থীর। ছেলেদের ক্ষেত্রে বিষয়টা কিরকম? ফরিদপুর শহরের একজন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী শাহরিয়ারের মতে, ছেলেরা হয়তো মেয়েদের তুলনায় কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থায় থাকে।

তবে অনেকসময় অনেক পোস্টের কারণে হয়তো ছেলেদের গালাগাল শুনতে হয়। জরিপে অনেক শিক্ষার্থীরা তাদের বয়সের অনুপযোগী ওয়েবসাইটে যাচ্ছে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এ প্রসঙ্গে শাহরিয়ার বলেন, কৌতুহলে কিংবা কোনও লিঙ্ক সামনে চলে এলে তাদের বয়সীরা সেখানে 'ক্লিক' করে বসেন। আরকজন স্কুল শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করে বলছিলেন, একবার বোনের সাথে পোস্ট করা ছবির নিচে রুচিহীন মন্তব্য দেখে কঠিন ভাষায় তার প্রতিবাদ করায় উল্টো তার ফেসবুক পাতায় গালাগালি জুড়ে দেয়া হয়েছিল।

তবে এই শিক্ষার্থীরা নিজেদের ৪৯ শতাংশের মধ্যে ফেললেও, অনেক শিক্ষার্থী এমন অভিজ্ঞতা নেই বলে জানালেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!