• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
গাজীপুর সিটি নির্বাচন

ইফতার-ঈদ ঘিরে অতিরিক্ত ব্যয় করতে হবে প্রার্থীদের


গাজীপুর প্রতিনিধি মে ১৮, ২০১৮, ০২:১৫ পিএম
ইফতার-ঈদ ঘিরে অতিরিক্ত ব্যয় করতে হবে প্রার্থীদের

গাজীপুর : আপিল বিভাগের নির্দেশনায় নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৬ জুন। নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করবেন ঈদুল ফিতরের পর ১৮ জুন থেকে। তবে এর আগে পবিত্র রমজান মাস ও ঈদুল ফিতর থাকায় নির্বাচন ঘিরে অতিরিক্ত ব্যয়ের বোঝা টানতে হবে জিসিসি নির্বাচনের মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীদের। দ্বিতীয় দফার আনুষ্ঠানিক প্রচারণার ব্যয় নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছেন কোনো কোনো কাউন্সিলর প্রার্থী।  

আগের তফসিল অনুযায়ী ১৫ মের ভোটগ্রহণকে সামনে রেখে গত ২৪ এপ্রিল থেকে প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের মাত্র ৯ দিন বাকি থাকতে এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট নির্বাচন স্থগিত করায় ৬ মে থেকে নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ হয়ে যায়। ততদিনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় মোটা অঙ্কের টাকা ব্যয় করেছেন।

দলগত বা ব্যক্তিগতভাবে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে ভোট চাওয়া ছাড়াও ব্যানার, পোস্টার, লিফলেট, স্টিকার, বিলবোর্ড ছাপিয়ে ও মাইকিং করে দেশের বৃহত্তম গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থান চষে বেড়িয়েছেন। ঝড়, বৃষ্টি ও অন্যান্য কারণে এগুলো সম্পূর্ণ বা আংশিক বিনষ্ট হয়ে দৃষ্টিকটুভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। ফলে নতুন করে এসব খাতে টাকা খরচ করতে হবে।

জিসিসি নির্বাচনের বিভিন্ন পদের কয়েকজন প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল ফিতরের পর ১৮ জুন থেকে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর কথা থাকলেও এর আগ পর্যন্ত প্রার্থীরা ঘরোয়া নির্বাচনী প্রচারণা চালাবেন, যা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। বিশেষ করে আসন্ন রমজান মাসে ইফতার মাহফিলের আয়োজন ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের খরচও বেড়ে যাবে কয়েক গুণ। এই পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা চালাতেও ব্যয় করতে হবে অতিরিক্ত টাকা।

১৬ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান জানান, নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ায় আমি খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। নির্বাচনী ক্যাম্পের জন্য ১০ দিনের চুক্তিতে ডেকোরেশনের মালামাল ভাড়া নিয়েছিলাম। ঈদুল ফিতরের পরই যেহেতু প্রচারণায় নামতে হবে সে জন্য মালামালগুলো রেখে দিতে হয়েছে। এতে ভাড়া গুনতে হবে দ্বিগুণ।  

১৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আবুল কাশেম জানান, নিজ উদ্যোগে এলাকার গণ্যমান্য ও সমাজবাসীর জন্য ইফতারের আয়োজন করতে হবে। এছাড়া এলাকার বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানে ইফতার মাহফিলের জন্য অনুদান দিতে হবে। ঈদসামগ্রী বিতরণও করতে হবে। এতে আর্থিক খরচ কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে টাকা ধার করা ছাড়া উপায় দেখছি না।  

১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সাইফুল ইসলাম দিলীপ বলেন, দু’দফা পোস্টার ছেপেছি। তাও বৃষ্টি ও ঝড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে। নতুন করে আবার পোস্টার ছাপিয়ে ঝুলাতে হবে। লিফলেট ও ব্যাজের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। সর্বোপরি সব ক্ষেত্রেই দ্বিগুণ টাকা ব্যয় হবে। ফলে অনেক প্রার্থীরই হলফনামায় দেওয়া শর্ত মানা সম্ভব হবে না।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!