• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
বিএনপি প্রার্থী মঞ্জুর সংবাদ সম্মেলন

‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে’ নৌকার জয়


খুলনা প্রতিনিধি মে ১৭, ২০১৮, ১১:০২ পিএম
‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে’ নৌকার জয়

খুলনা : সদ্য অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করে পুনর্নির্বাচন এবং ৪৫টি কেন্দ্রে হওয়া ‘গুরুতর অনিয়মের’ তদন্ত করে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

নির্বাচন উত্তর প্রতিক্রিয়া জানাতে বুধবার (১৬ মে) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের’ মাধ্যমে নৌকার জয় হয়েছে। খুলনাবাসী ভোট ডাকাতির নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে। এর মাধ্যমে গণতন্ত্র আরো সঙ্কটে পড়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়ে পড়েছে অনিশ্চিত।  

খুলনা নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ে সকাল ১০টায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার এই সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক।  

সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, কেসিসি নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ হয়ে গেছে, শেখ হাসিনার সরকার ও তার অনুগত নির্বাচন কমিশনের অধীনে দেশে কোনো অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না। কারাবন্দি দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি, অবরুদ্ধ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রাম আরো বেগবান হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।                 

খুলনা সিটি নির্বাচনকে নজিরবিহীন ভোট ডাকাতির এক নতুন মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করে মঞ্জু বলেন, এ ধরনের একটি প্রহসনের আয়োজনের মধ্য দিয়ে নৈতিক পরাজয় হয়েছে সরকারের। নৈতিক পরাজয় হয়েছে নির্বাচন কমিশনের। আর বিজয় হয়েছে গণতন্ত্রের চলমান আন্দোলনের।  

নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, বনদস্যু, জলদস্যু, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, খুনি, সন্ত্রাসীরা কেন্দ্র দখল করে ডাকাতির উৎসবের মাধ্যমে তাকে (খালেক) নির্বাচিত করেছে। এদের পাশে নিয়ে খালেক কীভাবে মাদকমুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত নগরী গড়বেন- জানতে চান তিনি?   

২০-দলীয় জোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মঞ্জু বলেন, সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় শক্তিকে নিয়োজিত করে ভোটের ফলাফল পক্ষে নেওয়া হয়েছে। বিজিবি ও র‌্যাব ছিল নিষ্ক্রিয়। তারা গাড়িতে বসে ঘুমিয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ছিলেন নির্বিকার। আর পুলিশ ছিল অত্যন্ত সক্রিয়।  

মঞ্জুর অভিযোগ, যেসব ওয়ার্ডে ধানের শীষ প্রতীক বিজয়ী সেই ওয়ার্ডগুলোই ছিল আওয়ামী লীগের টার্গেট। যে কারণে সকালেই ১৬, ১৭, ১৯, ২২, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কেন্দ্রগুলো দখল করে নেয় তারা। এজেন্টদের পিটিয়ে মেরে বের করে দেওয়া হয়েছে। ভোটারদের কেন্দ্রেই আসতে দেওয়া হয়নি। হুমকি ভয় ভীতি প্রদান ছিল অব্যাহত।    

এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ২০-দলীয় জোটের সমন্বয়কারী ও প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, শেখ মুজিবর রহমান, সৈয়দা নার্গিস আলী, বিজেপির সভাপতি অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান লাবু, জেপি (জাফর) সভাপতি মোস্তফা কামাল, জামায়াতের অ্যাডভোকেট শাহ আলম ও খান গোলাম রসুল, বিজেপির সিরাজউদ্দিন সেন্টু, মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আক্তার জাহান রুকু, খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নাসিরউদ্দিন, বিএনপি নেতা মোল­া আবুল কাশেম, স ম আবদুর রহমান, সৈয়দা রেহানা ঈসা, মনিরুজ্জামান মন্টু, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, এহতেশামুল হক শাওন, ইউসুফ হারুন মজনু, ইকবাল হোসেন খোকন, শামসুজ্জামান চঞ্চল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!