• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

একটি সেতুর অভাবে আট গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৫, ২০১৬, ০৪:২২ পিএম
একটি সেতুর অভাবে আট গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

এম.মনছুর আলম, চকরিয়া
দফায় দফায় সরকার পরিবর্তন হলেও আট গ্রামের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি আজও। কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী নদীর পূর্ব বড় ভেওলা-তরছঘাট এলাকায় স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরও একটি পাকা সেতু নির্মিত হয়নি।

দীর্ঘ ৪০বছর ধরে পূর্ব বড় ভেওলার আট গ্রামের লোকজন কখনও নৌকা, বাশেঁর সাঁকো এবং কাঠের সেতু দিয়ে নদী পারাপার করতে হয়। প্রতিদিন এ পথ দিয়ে যাতায়াতকারী আট গ্রামের মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে নদী পার হয়ে ওপারে যেতে যেন তাদের হিমশিম খেতে হয়। বিশেষত বর্ষায় মাতামুহুরী নদীতে পাহাড়ী ঢলের কারণে পানি বৃদ্ধি পেয়ে স্কুল, কলেজে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্টানে যাওয়া-আসা প্রায় বন্ধ করে দিতে হয়। ওই আট গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী মাতামুহুরী নদীর তরছঘাট এলাকায় একটি সেতু নির্মাণ।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পূর্ব ভেওলা ইউনিয়নের আট গ্রামের মানুষ প্রতিদিন নদী পার হওয়ার একমাত্র পথ ওই সেতুটি। এছাড়াও সাহারবিল ইউনিয়নের দু’একটি গ্রামের লোকজন এ নদীর কাটের সাঁকো দিয়ে পারাপার করে। যুগ-যুগ ধরে নৌকা নিয়ে যাতায়াত করছেন আট গ্রামের মানুষ। গ্রামগুলো হল, পূর্ব ভেওলা ইউনিয়নের আনিসপাড়া, সেকান্দর পাড়া, মাবিয়াবাপের পাড়া, নোয়াপাড়া, বুড়ির পাড়া, কালাগাজী সিকদার পাড়া, ফজল রহমান সিকদার পাড়া ও অলি বাপের সিকদার পাড়া। ওই সব গ্রামের মানুষ বিপরীত ৩কিলোমিটার এলাকা ঘুরে বাটাখালী সেতু পার হয়ে উপজেলা সদরে আসতে হয়।

পূর্ব বড় ভেওলা সামশু মিয়া বাজার এলাকার বাসিন্দার আফলুল কাদের বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষ থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ে তরছঘাট -পূর্ব  বড় ভেওলা ঘাট দিয়ে নৌকা নিয়ে পারাপার করে আসছে। আমাদের দশাও একই। ওই এলাকার জনসাধারণের র্দীঘ দিনের দাবী একটি পাকা সেতু।

পূর্ব বড় ভেওলা আট নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, এ নদীর উপর ব্রীজ নিমার্ণ খুবই জরুরি। এখানে একটি ব্রীজ নিমার্ণ করা হলে এলাকায় মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নয়নের পাশাপাশি সাধারণ কৃষকরা সুফল পেত।

চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আলম বলেন, স্থানীয় লোকজন আমার কাছে ওই এলাকার সেতু বিষয়ে মৌখিক ভাবে বলেছে। অনেক বার সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদনও করেছে বলে শুনেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এলাকার লোকজনের দুভোর্গের কথা তুলে ধরে এবিষয়ে কথা বলব।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!