• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কঙ্কনা-হৃতিক যুদ্ধে এবার মুখ খুললেন রাবীনা


বিনোদন ডেস্ক জুন ৫, ২০১৬, ০৪:২১ এএম
কঙ্কনা-হৃতিক যুদ্ধে এবার মুখ খুললেন রাবীনা

অর্ধেক বয়সী হিরোইনদের সঙ্গে প্রেম করবে প্রতিষ্ঠিত বিবাহিত হিরোরা। সেটা নিয়ে মুখ খুলেই দোষ নায়িকাদের। নতুন বিতর্ক উষ্কে দিল অভিনেত্রী রাবীনা ট্যান্ডন।

কঙ্কনা-হৃতিক যুদ্ধে এবার সরব রবীনা। শুধু কঙ্গনার পাশে নয়, সেই সঙ্গে বলিউডের মুখোশ টেনে খুলে দিলেন নায়িকা। স্পষ্ট ভাষায় রাবীনা বলেন, 'আমার ভাবতে অদ্ভুত লাগে, কঙ্গনার এই ব্যক্তিগত লড়াই ওকে ফেমিনিস্টদের পোস্টার গার্ল করে তুলেছে। আজও আমার স্পষ্ট মনে আছে সেইদিনটির কথা।, যেদিন কঙ্গনাকে প্রথমবার দেখি। লন্ডনে। সেরা নবাগতা অভিনেত্রী সম্মান নিতে মঞ্চে উঠেছিল। সেদিন কঙ্গনার সারল্য আমাকে মুগ্ধ করেছিল। সবার সামনে ওর স্বীকারোক্তি আমি ভাল ইংরেজি বলতে পারি না, তাই হিন্দিতে বলছি। শুধু আমার নয়, সেদিন কঙ্গনায় ছুঁয়ে গিয়েছিল আসনে বসে থাকা অনেকেই হৃদয়'।

তবে আজ সে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সেটা সত্যিই বড় দুঃখের। কোনটা সত্যি সেটা বলা ভীষণ মুশকিল। আপনার কথা যেটা সত্যি আমার কাছে সেটা অর্ধ সত্যি কিংবা ডাহা মিথ্যেও হতে পারে। আবার আমার সত্যি আপনাদের কাছে রং চড়ানো পাবলিসিটি হতে পারে। তাই কোনটা সত্যি? এটা বোধ হয় বলা যাবে না।

তবে আমি মনে করি কঙ্গনা এমন এক নারী যে সত্যি বলতে পিছপা হয় না। আর এই সত্যি প্রতিষ্ঠিত করতে ও শেষ পর্যন্ত লড়বে। আর কঙ্গনার যে কাজটা করেছে ওর সাহসকে আমার কুর্নিশ। ওর জায়গায় অন্য কেউ হলে সেটা করতে পারত না। আমি জানি কঙ্গনা মৌচাকে ঢিল মেরেছে তাতে একটা দুটো হুল ফুটবে। তবে এভাবেই হয়ত পাল্টাবে চেনা চকে বাঁধা বলিউড।

বলিউডের চেনা ছক! কোন ছকের কথা বলছেন রাবীনা। আসুন শুনে নিল তাঁর কথায়, নব্বইয়ের দশক। মানে আমার সময় বলিউডের একটা ট্রেন্ড ছিল। গোপনে বলিউডের প্রতিষ্ঠিত হিরোদের সঙ্গে ছবির হিরোইনদের প্রেম চালিয়ে যাতে হবে। অলিখিত নিয়ম, সে প্রেম-পর্বের কথা বলা যাবে না কখনো। আর যদি কখন বলে ফেলেছ তোমার কেরিয়ার সেখানেই শেষ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তোমার হাত থেকে চলে যাবে ছবি অফার। ইন্ডাস্ট্রির অন্য নায়করা তোমার সঙ্গে অভিনয় করতে চাইবে না। এক কথায় তোমার ফিল্মি কেরিয়ার খতম। কিন্তু ওদিকে বহাল তবিয়তে ঘুরে ফিরবেন হিরো। মিডিয়ার সামনে নায়িকার সম্পর্কে কয়েকটি কটূকথা বলবেন। আর শেষ কাজটি করে থাকেন মিডিয়ার কয়েকজন ধামাধরা সাংবাদিক ও কিছু হিরো প্রীতি পরায়ণ মহিলা সাংবাদিক। যারা নায়িকার বেচে থাকা একটু-আধটু সম্মানও মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগেন।

তবে রাবীনা খুশি সোশ্যাল মিডিয়া আসায়। সে কারণে নাকি অনেকটা পরিস্থিতির বদল হয়েছে ইন্ডাস্ট্রির। শুধু এক তরফা নয়, কথা জানা যায় অন্য মানুষটিরও। আর এই সুযোগটা পেয়েছে কঙ্গনা। আমার মনে হয়, কঙ্গনা যদি মনে করে ওর সঙ্গে অন্যায় হয়েছে, তাহলে ওর অধিকার আছে সেটা নিয়ে লড়াই করার। সূত্র: কলকাতা

সোনালীনিউজ/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!