• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কমিটি নিয়ে বিএনপি নেতাদের মধ্যে বাড়ছে সন্দেহ-অবিশ্বাস


সোনালীনিউজ রিপোর্ট মে ১১, ২০১৬, ০২:০৮ পিএম
কমিটি নিয়ে বিএনপি নেতাদের মধ্যে বাড়ছে সন্দেহ-অবিশ্বাস

বিএনপিতে কাউন্সিল পরবর্তী কমিটি নিয়ে দলের নেতাদের মধ্যে সন্দেহ-অবিশ্বাস ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। দলের বিশৃঙ্খলা শুরু হয়েছে। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া পূর্ণাঙ্গ কমিটি কবে হবে তা দলের কেউ জানেন না। যদিও এখন পর্যন্ত তিন দফায় গুরুত্বপূর্ণ পদে ৪১ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। 

তবে তাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা দলে নিষ্ক্রিয়, নবাগত, সংস্কারপন্থি এবং বিগত আন্দোলনে মাঠে ছিলেন না। এমনকি দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথেও তাদেও তেমন যোগাযোগ নেই। তাছাড়া কমিটির ঘোষিত নেতাদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতাও লঙ্ঘিত হয়েছে। ফলে দলের চেইন অফ কমান্ড ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন নিবেদিত নেতাকর্মীরা। বিএনপি সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ইতিমধ্যে তিন ধাপে ঘোষিত বিএনপির কমিটির ৪১ সদস্য নিয়ে দলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। গুঞ্জন উঠেছে টাকার বিনিময়ে অনেককে কমিটিতে নেয়া হয়েছে। তাতে নেতাদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘিত হয়েছে। তবে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের দাবি- দলের চেয়ারপারসন দলকে একটি সুশৃঙ্খল প্লাটফর্মে দাঁড় করাতে চাচ্ছেন। সে লক্ষ্যে সর্বাত্মক চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন। পরিবার-স্বজনহারা খালেদা জিয়ার এখন নীরব-নিভৃত ভাবনা শুধুই দল নিয়ে।

সূত্র জানায়, কাউন্সিলরদের ক্ষমতাবলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তিন ধাপে নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ৪১ পদের নেতা নির্বাচন করেছেন। প্রথম দফায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে মহাসচিব, রহুল কবীর রিজভী আহমেদকে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও মিজানুর রহমান সিনহাকে কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেয়া হয়। 

দ্বিতীয় ধাপে ৭ জন যুগ্মমহাসচিব ও ৯ জন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়। সর্বশেষ তৃতীয় ধাপে প্রতিটি বিভাগে ২ জন করে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিভাগের বাইরেও বৃহত্তর কুমিল্লা এবং ফরিদপুরে ২ জন করে ৪ জন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নিয়োগ করা হয়। এখন পর্যন্ত ঘোষিত কমিটিতে যুগ্ম-মহাসচিব, সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক পদে অধিকাংশই নতুন নেতাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। 

প্রবীণদেরও সমন্বয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে তরুণ নেতাদের সাংগঠনিক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব দেয়া হলেও পদ বণ্টনে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন, সিনিয়র নেতাদের অবমূল্যায়নের ঘটনা ঘটেছে। এমনকি কমিটিতে পদ পদবি নিয়ে ব্যাপক বাণিজ্যের অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে। দলের একজন সহ-দফতর সম্পাদকের ব্যাংক হিসাব বিবরণী গণমাধ্যমের কাছে পাঠানোর ঘটনাও ঘটেছে। পদ প্রত্যাশী নেতারা নিজেদের মধ্যে বলয় সৃষ্টি, একে অন্যকে ঘায়েল করার মতো কাজেও লিপ্ত রয়েছেন।

এদিকে কমিটি নিয়ে নেতাদের মধ্যে সন্দেহ-অবিশ্বাস প্রসঙ্গে বিএনপির যুগ্ম সচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, দল পুনর্গঠন নিয়ে নেতাদের মধ্যে কোন সমস্যা নেই। বিএনপির মতো বড় দলে সব সময় পদের জন্য প্রতিযোগিতা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। এখনো বিএনপির পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার কাজ চলছে।

অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, বিএনপি বড় একটি রাজনৈতিক দল। পদ পেতে নিজেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে। তাবে তা যদি প্রতিহিংসায় রূপ নেয় তাহলে ক্ষতি। কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠনের সম্পূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দলের চেয়ারপারসনকে। তিনি সময়মতো তা করবেন। তবে স্থায়ী কমিটি গঠনে দেরি হলে দলের কর্মকাণ্ড ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আমা

Wordbridge School
Link copied!