• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কর্পোরেট ট্যাক্স ১০ শতাংশ করার দাবি ব্যবসায়ীদের


বিশেষ প্রতিনিধি মে ২৬, ২০১৬, ০১:৪২ পিএম
কর্পোরেট ট্যাক্স ১০ শতাংশ করার দাবি ব্যবসায়ীদের

পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ আসন্ন ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠানের জন্য করপোরেট কর ১০ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে। এ ছাড়া উৎসে কর অতীতের মতো শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে তারা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে এক অংশীদারত্ব সংলাপে পুনরায় এসব দাবি তুলে ধরেন বিজিএমইএর নেতারা। এর আগে এনবিআরের কার্যালয়ে প্রাক্-বাজেট আলোচনায় এবং বিজিএমইএর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দাবিগুলো তুলে ধরেছিলেন তাঁরা।

সম্প্রতি রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএর নিজস্ব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ দাবি জানান ব্যবসায়ী। এ সময় এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সহসভাপতি মাহমুদ হাসান খান, মোহাম্মদ নাছির, এস এম মান্নান উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘প্রতি তিন মাস অন্তর এনবিআর ও বিজিএমইএ ‘পার্টনারশিপ ডায়ালগ’ বা ‘অংশীদারত্ব সংলাপ’ শীর্ষক বৈঠক করবে। এতে উভয় পক্ষের সমস্যা, প্রতিবন্ধকতাসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা হবে। এনবিআরের পক্ষ থেকেই এ ধরনের বৈঠকের প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৈঠক সূত্র জানায়, এনবিআরের চেয়ারম্যান বিজিএমইএকে ইউটিলাইজেশন পারমিশন (ইউপি) ও ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশন (ইউডি) সনদ দেওয়ার পুরো প্রক্রিয়া ডিজিটাল করার কথা বলেন। এ ছাড়া পোশাক কারখানার মালিকদের কর ও শুল্ক প্রদানে উৎসাহিত করতে বিজিএমইএর নেতাদের অনুরোধ করেন তিনি।

অন্যদিকে এনবিআরের চেয়ারম্যানের কাছে আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেট সামনে রেখে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের নেতারা।

বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘পোশাকশিল্পের জন্য করপোরেট কর ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছি আমরা। কারণ, বর্তমানে ৩৫ শতাংশ করপোরেট কর দিয়ে মালিকদের প্রদর্শিত অর্থের পরিমাণ খুবই সামান্য হয়। কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়নে এখন মালিকদের প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করতে হচ্ছে। অন্যদিকে নতুন কোনো কারখানার জন্য বিনিয়োগ করতে হলেও কোটি কোটি টাকার দরকার।’

সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমরা এনবিআরের চেয়ারম্যানকে বলেছি, যদি নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান চান, তবে করপোরেট কর ১০ শতাংশ করে দিতে হবে।’

এ ছাড়া বৈঠকে পোশাক খাতের প্রতিটি রপ্তানি আদেশের বিপরীতে উৎসে কর দশমিক ৬০ থেকে কমিয়ে দশমিক ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেন বিজিএমইএর নেতারা। এ বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি বলেন, ‘আমরা ২০২১ সালের মধ্যে পোশাক রপ্তানি ২৫ বিলিয়ন থেকে ৫০ বিলিয়নে (আড়াই হাজার থেকে পাঁচ হাজার কোটি) মার্কিন ডলারে নিয়ে যেতে চাই। সে জন্য এই সুবিধাটি দরকার। সেটিই আমরা এনবিআরের চেয়ারম্যানকে বলেছি।’

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, ‘রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পকে মূল্য সংযোজন করের (মূসক) বাইরে রেখেছে সরকার। তবে বিদ্যুৎ বিল কিংবা স্থানীয় ঋণপত্রের মাধ্যমে পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে অনেক সময় মূসক দিতে হয়। যদিও পরবর্তী সময়ে মূসক রেয়াত নিতে পারেন মালিকেরা। তবে সে জন্য অনেক কাগজপত্র দাখিল করতে হয়। সেই কাগজপত্র আবার কখনো কেউ খুলেও দেখেনও না। সেটি থেকে আমরা মুক্তি চেয়েছি। এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেছেন, মূসক-প্রক্রিয়াটি ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে। তাতে জটিলতা ও হয়রানি কমবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি/আমা

Wordbridge School
Link copied!