কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লার হোমনায় তিতাস নদীর পাড়ে সাতটি গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করার সময় বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে হুড়াহুড়ি করতে গিয়ে অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতরা সবাই হোমনার কফিল উদ্দিন পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এ ঘটনা ঘটে। প্রায় ৯ মাস আগে উদ্ধার করা ওই সাতটি গ্রেনেড সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা হোমনা থানা পুলিশ গত বছর জুনে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর কলেজের ভবন নির্মাণের সময় পরিত্যক্ত ভবনে খোড়াখুড়ির সময় সাতটি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়। পুলিশ উদ্ধার করা গ্রেনেডগুলো নিষ্ক্রিয় করতে সেনাবহিনীর সহযোগিতা নেয়। আজ বুধবার দুপুরে সেনাবাহিনীর মেজর মিসকাত বেগম তানিয়ার নেতৃত্বে বোমা নিষ্ক্রিয়করণদল সাতটি গ্রেনেড হোমনার তিতাস নদীর পাড়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করে। এ সময় গ্রেনেডগুলোর বিস্ফোরণের শব্দে পার্শ্ববর্তী কফিল উদ্দিন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ক্লাসে থাক ছাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে ছুটাছুটি শুরু করে। এ সময় অন্তত ৪০ জন আহত হয়। তাদেরকে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে হোমনার থানার ওসি আবুল ফয়সল জানান, যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে গ্রেনেডগুলো আজ বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করে সেনাবাহিনীর একটি দল। এ সময় স্কুলটির দুর্বল ছাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে ছুটাছুটি করে আহত হয়। তিনি জানান, সেনাবাহিনীর মেজর মিসকাত বেগম তানিয়ার নেতৃত্বে বোমা নিষ্ক্রিয়করণদল সাতটি গ্রেনেড হোমনার তিতাস নদীর পাড়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করে।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/মে
আপনার মতামত লিখুন :