• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ক্যাপসিকামের পুষ্টিকর


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ১০, ২০১৬, ০৫:৪৯ পিএম
ক্যাপসিকামের পুষ্টিকর

সোনালীনিউজ ডেস্ক

লাল, সবুজ, হলুদ, কমলা হরেক রঙের ক্যাপসিকাম দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও সুস্বাদু। তবে অনেকেই নানা রঙের ক্যাপসিকাম শুধুই দেখতে সুন্দর বলেই কিনে ফেলেন। জেনে নিন ক্যাপসিকামের গুণ।

সবুজ ক্যাপসিকাম: পুরোপুরি পাকার আগেই এই ক্যাপসিকাম তুলে ফেলা হয়। সেই কারণে অন্যান্য রঙের ক্যাপসিকামের মতো সবুজ ক্যাপসিকামের স্বাদ অত মিষ্টি হয় না। তবে সবুজ ক্যাপসিকামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম যা পেশির সংকোচন-প্রসারণে সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ভিটামিন-সি থাকার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, সংক্রমণ রোধ করে, ক্যানসার রুখতে সাহায্য করে। এর ভিটামিন-এ ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়ায়, দৃষ্টিশক্তি সজাগ রাখতে সাহায্য করে।

লাল ক্যাপসিকাম: এই ক্যাপসিকাম পুরোপুরি পাকার পর তোলা হয়। সেই কারণে লাল ক্যাপসিকামের স্বাদ মিষ্টি ও অনেকটা ফলের মতো হয়। এর উপাদান সবুজ ক্যাপসিকামের মতো হলেও পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। সেই সঙ্গেই রয়েছে লাইকোপেন নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পিগমেন্ট যা স্তন ও প্রস্টেটের ক্যানসার রুখতে সাহায্য করে। লাল ক্যাপসিকামে থাকা জেক্সানথিন ও লুটেনের সাহাযেযে ছানি ও পেশির ক্ষয় রুখতে সাহায্য করে লাল ক্যাপসিকাম। সবুজ ক্যাপসিকামের তুলনায় এতে ১১ গুণ বেশি বিটা ক্যারোটিন, দেড় গুণ বেশি ভিটামিন-সি ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন-এ রয়েছে।

হলুদ বা কমলা ক্যাপসিকাম: কাঁচা ও পাকার মাঝামাঝি সময় এই ক্যাপসিকাম তুলে ফেলা হয়। যে কারণে সবুজ ক্যাপসিকামের কড়া স্বাদ না থাকলেও এটা লাল ক্যাপসিকামের মতো মিষ্টি স্বাদের নয়। একই ভাবে এর পুষ্টিগুণ সবুজ ক্যাপসিকামের থেকে বেশি হলেও লাল ক্যাপসিকামের থেকে কম। সবুজ ক্যাপসিকামের তুলনায় এর মধ্য দ্বিগুণ ভিটামিন-সি রয়েছে। তবে বিটা ক্যারোটিন বা ভিটামিন এ-র পরিমাণ সবুজ ক্যাপসিকামের এক তৃতীয়াং‌শ।

সোনালীনিউজ/এন

Wordbridge School
Link copied!