• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদাকে কতটিতে জামিন নিতে হবে জানেন না আইনজীবীরা  


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ১৩, ২০১৮, ০৪:১৯ পিএম
খালেদাকে কতটিতে জামিন নিতে হবে জানেন না আইনজীবীরা  

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সারা দেশের বিভিন্ন আদালতে রয়েছে ৩৬ মামলা। এর মধ্যে ৭ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বিচারিক আদালতে নিষ্পত্তি হয়েছে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা। এই মামলায় অর্থসহ পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে কারাগারে আছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। আর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারকাজও শেষ পর্যায়ে। মামলাটি এখন বিচারিক আদালতে যুক্তিতর্ক পর্যায়ে রয়েছে। তবে কতটি মামলায় বিএনপি নেত্রী জামিনে রয়েছেন তা তার আইনজীবীদের কেউই নিশ্চিত করতে পারেননি। উল্টো জামিন নিয়ে পাওয়া যাচ্ছে গোঁজামিলের হিসাব। গত বুধবার খালেদা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন সুপ্রিম কোর্টের আপিলে বহাল রয়েছে। তবুও তার কারামুক্তি মিলছে না অন্য মামলায় গ্রেপ্তার থাকায়। 

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, প্রচলিত বিধি হলো, ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে যতগুলো মামলা থাকবে ঠিক ততগুলোতে পৃথকভাবে তাকে জামিন নিতে হবে। সবকটিতে জামিনলাভের পরই মুক্তির প্রশ্ন আসবে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে চারটি মামলা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্নীতি, নাশকতা, রাষ্ট্রদ্রোহসহ বাকি সব মামলা আওয়ামী লীগের দুই মেয়াদের শাসনামলে করা। 

নাইকো দুর্নীতি মামলাসহ ১৬ মামলা অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে রয়েছে, এগুলোর আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া (অভিযোগ গঠন) শুরুই হয়নি। এর মধ্যে ১১ মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত। অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে এমন মামলার সংখ্যা ২১। কিছু মামলা তদন্ত পর্যায়ে।  বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিজেও তার বিরুদ্ধে ৩৬ মামলার কথা স্বীকার করেছেন। 

গত ৮ জানুয়ারি আইন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে রাজধানীর বকশীবাজারের বিশেষ জজ আদালতে নাশকতার ৯টিসহ গ্যাটকো, নাইকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতির মামলার বিচার স্থানান্তর করে। আর নালিশি মামলা দুটির একটিতে নাশকতার মাধ্যমে সারা দেশে হত্যার অভিযোগ, আরেকটি ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগের মামলা। 

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী মওদুদ আহমদ বলেন, ‘উনাকে এখনো কিছু মামলায় জামিন নিতে হবে। এর মধ্যে কুমিল্লায় তিনটি, নড়াইলে একটি এবং ঢাকায় দুটি। এখন আইনি প্রক্রিয়ায় আমাদের এগোতে হবে।’  

খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে তিনটি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে শ্যোন অ্যারেস্ট (গ্রেফতার) দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে দুটি কুমিল্লায় এবং একটি নড়াইলে। নড়াইলের মামলাটি জামিনযোগ্য অপরাধ এবং অন্যান্য মামলায়ও জামিন হয়ে যাবে বলে আশা করছি।’ 

খালেদা জিয়ার মামলা তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা ঝুলছে। এর মধ্যে শুধু দুটি মামলায় হাজিরা পরোয়ানা (প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট) আছে। এটা আমি দায়িত্ব নিয়েই বলছি। কারণ সব মামলার ফাইল আমার কাছেই থাকে। এখন সরকার বাধা সৃষ্টি না করলে এসব মামলাতেও তার জামিনে মুক্তিতে বাধা থাকবে না।’ 

আরেক আইনজীবী জাকির হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে মোট ৩৬টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলার ১৬টি অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে রয়েছে। উচ্চ আদালতে ১১টির বিচার স্থগিত আছে। আর বাকি ২০টি মামলার কোনোটিতে অভিযোগপত্র জমা পড়েছে বা কোনোটি তদন্তের পর্যায়ে আছে।’ 

সোনালীনিউজ/জেএ

Wordbridge School
Link copied!