• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করলো দুই শিক্ষক!


কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি অক্টোবর ১২, ২০১৭, ১০:২৪ পিএম
ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করলো দুই শিক্ষক!

প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জ: জেলার ইটনা উপজেলায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগে ওঠেছে ওই স্কুলের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পরে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকদের ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মশিউর রহমান এ আদেশ দেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলো- ইটনা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম (৩৮) ও মহেশ চন্দ্র মডেল শিক্ষা নিকেতনের শরীরচর্চা শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম খান (৪০)।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, ওই দুই শিক্ষক ঘনিষ্ঠ বন্ধু। গত এক বছর ধরে তারা ইটনা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত ও যৌন হয়রানিসহ মানসিক নির্যাতন এবং কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এমনকি ওই অভিযোগে তাদের একাধিকবার ইউএনও কার্যালয়ে ডেকে সতর্ক করা হয়েছে।

কিন্তু তারা ওই নিষেধ অমান্য করে তাদের কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। সর্বশেষগত  ১৫-২০ দিন আগেও একই অভিযোগে তাদের পুনরায় ডেকে আনা হয়। এ সময় ওই দুই শিক্ষক উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে ওই ছাত্রীকে আর যৌন হয়রানি করবেন না বলে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

এরপরেও তারা ওই ছাত্রীর পিছু ছাড়েননি। অভিযুক্ত শিক্ষকরা ওই ছাত্রীকে মুঠোফোন কিনে দেয়ার প্রলোভন দেখান এবং নগদ টাকাও দিতে চান। পরে ওই ছাত্রী এসব কথা তার পরিবারকে জানালে বুধবার (১১ অক্টোবর) রাতে অভিযুক্ত শিক্ষকরা ওই ছাত্রীর বাবাকে দুই লাখ টাকা দিয়ে বিষয়টি আপস করতে চান। এসময় তারা বিষয়টি ইউএনওকে না জানাতে ছাত্রীর বাবাকে অনুরোধ করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে বিদ্যালয়ের পাশের সড়কে দাঁড়িয়ে থাকি। পরে ওই ছাত্রী স্কুল থেকে ফেরার পথে যৌন হয়রানির সময় ওই শিক্ষকদের হাতেনাতে আটক করি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে প্রত্যেককে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!