• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জাতীয় পার্টির অষ্টম জাতীয় সম্মেলন শনিবার


বিশেষ প্রতিনিধি মে ১৩, ২০১৬, ১১:২৯ পিএম
জাতীয় পার্টির অষ্টম জাতীয় সম্মেলন শনিবার

জাতীয় সংসদের 'প্রধান বিরোধী দল' জাতীয় পার্টির (জাপা-এরশাদ) অষ্টম জাতীয় সম্মেলন আজ শনিবার। রাজধানীর রমনার ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তন ও পার্শ্ববর্তী মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। ইতোমধ্যে সম্মেলনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

সম্মেলনের দিনক্ষণ ঠিক হওয়ার আগেই দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান পদে রওশদ এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান পদে গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও মহাসচিব পদে রহুল আমিন হাওলাদারকে নিয়োগ দিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। ফলে এ সম্মেলনে দলের শীর্ষ নেতৃত্বে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হচ্ছে না।

প্রথম পর্বে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উদ্বোধনী ও সাধারণ সম্মেলন এবং দুপুর ২টা থেকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কাউন্সিলরদের নিয়ে মূল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

দ্বিতীয় পর্বে জাতীয় পার্টির ৭৬টি সাংগঠনিক জেলা থেকে ১৯ হাজার ৭০০ কাউন্সিলর ঘরোয়া অধিবেশনে উপস্থিত থাকবেন। ডেলিগেট থাকবেন আরও প্রায় ৫০ হাজার। সারা দেশ থেকে আসা কাউন্সিলরদের মতামত নিয়ে নেতা নির্বাচনসহ রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এবং গঠনতন্ত্রেও প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হবে।

জাপা সূত্র জানায়, সম্মেলনে সারা দেশ থেকে প্রায় এক লাখের মতো নেতাকর্মী যোগ দেবেন। এ জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছে দলটি। সম্মেলনের আগে পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব রহুল আমিন হাওলাদার হেলিকপ্টারযোগে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন। মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে সম্মেলন সফল করার জন্য কাজ করছেন।

এদিকে পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের সভাপতিত্বে গত বৃহস্পতিবার (১২ মে) প্রেসিডিয়াম সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পার্টির গঠনতন্ত্রের সংশোধনী প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। গঠনতন্ত্রে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান, কো-চেয়ারম্যান পদ ছিল না। কিন্তু নতুন করে এ পদ সৃষ্টির প্রস্তাব প্রেসিডিয়ামের বৈঠকে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সম্মেলনে এসব প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য তোলা হবে।

গঠনতন্ত্রের ৩৯ ধারা বহাল থাকছে। এ ধারায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানকে একক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যানের বিশেষ ক্ষমতায় এ ধারামতে, ‘চেয়ারম্যান প্রয়োজনবোধে প্রতিটি স্তরের কমিটি গঠন, পুনর্গঠন, বাতিল ও বিলোপ করতে পারবেন। চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টির যেকোনো পদে যেকোনো ব্যক্তিকে নিয়োগ, যেকোনো পদ থেকে যেকোনো ব্যক্তিকে অপসারণ ও যেকোনো ব্যক্তিকে তার স্থলাভিষিক্ত করতে পারবেন। তিনি এ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পার্টির পার্লামেন্টারি বোর্ডের দায়িত্ব গ্রহণ ও পালন করতে পারবেন। তবে শর্ত থাকে যে, তাকে প্রদত্ত উপরোক্ত ক্ষমতা প্রয়োগের সময় তিনি প্রেসিডিয়ামের সঙ্গে আলোচনা করবেন।’ এ ছাড়া গঠনতন্ত্রে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন না করলেও ভাষাগত কিছু পরিবর্তন-সংশোধন করার অনুমোদন হয়েছে।

১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ইতোমধ্যে দলটি ৩০ বছর পার করেছে। গত ১ জানুয়ারিতে জাতীয় সম্মেলন করার কথা থাকলেও সে সময়ে অনেক জেলা সম্মেলন সম্পন্ন না হওয়ায় তারিখ পেছানো হয়েছে। সম্মেলনে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও বিভিন্ন দাতা সংস্থার প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, বিকল্পধারা, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগসহ বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতাদেরকে আমন্ত্রণ কার্ড পাঠানো হয়েছে। তবে জামায়াত ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কি-না, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি।

সোনালীনিউজ/ ঢাকা/ জেডআরসি/ এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!