• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জাবির ৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ


জাবি প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৭, ০৫:৫৬ পিএম
জাবির ৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ

জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রথম বর্ষের (২০১৬-১৭- ৪৬তম ব্যাচ) ৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ছিনতাই ও মারধরের অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মাসুদ পারভেজ। অভিযুক্তদের মধ্যে দুইজন পোষ্য কোটার শিক্ষার্থী।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর তিনি একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন।

অভিযোগপত্র সূত্রে উল্লেখকৃত ছিনতাইকারী সবাই ৪৬তম ব্যাচের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তারা হলেন, মাহাবুব শান্ত (নৃবিজ্ঞান), অরবিন্দ ভৌমিক (ইতিহাস), দ্বীপ বিশ্বাস (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব), ডিউক রায় (ইংরেজি) এবং সজিবুল উপল (ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং)।

এদের মধ্যে সজিবুল উপল ও মাহাবুব বিশ্ববিদ্যালয়ের পোষ্য কোটার ছাত্র এবং পরিবারের সঙ্গে ক্যাম্পাস সংলগ্ন আবাসিক এলাকায় বসবাস করেন। সজিবুল উপল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আবুল হোসেন ফকিরের ছেলে এবং মাহবুব বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্টার (ইঞ্জিনিয়ারিং শাখা) শাহ আলমের ছেলে।

অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, গত ৪ সেপ্টেম্বর (ছুটির দিনে) ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী মাসুদ তার পরিবার, বন্ধু ও চাচাতো বোনকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরছিল। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়াতে পৌঁছালে কয়েকজন শিক্ষার্থী মাসুদের বন্ধুকে মারধর করে। তখন মাসুদ তার বিভাগের জুনিয়র সজিবুল উপলকে চিনতে পারলে উৎপল তাকে মারধরের হুমকি দিয়ে আটকিয়ে রাখে।

ততক্ষণে মাসুদের বন্ধুকে কলেজ মাঠে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীনের নাম ব্যবহার করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অপরাগতা স্বীকার করায় তার কাছে থাকা মানিব্যাগ, মোবাইল ও ঘড়ি ছিনিয়ে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে পালিয়ে যায়। তারপর মাসুদ তার বিভাগের জুনিয়র উপলের মাধ্যমে ওই ছিনতাকারী ও মারধরকারীদের পরিচয় শনাক্ত করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. সজিবুল উৎপল বলেন, ‘আমি পাশে ছিলাম। দেখেছি তারা মাসুদ ভাইয়ের বন্ধুকে মেরেছে। তবে ছিনতাইয়ের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা আমার কাছে ছিনতাইয়ের সত্যতা স্বীকার করেছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, ‘অভিযোগ জমা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!