• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জুমআর দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ৬, ২০১৬, ০৪:৪১ পিএম
জুমআর দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত

সোনালীনিউজ ডেস্ক

সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ও মর্যাদাপূর্ণ দিন জুমআর দিন। আল্লাহ তাআলার নিকট হতে মানুষ সবচেয়ে বেশি নিয়ামত লাভ করেছেন এ দিনেই। আদি মানব হযরত আদম আলাইহিস সালামকে এ দিনেই সৃষ্টি করেছেন। আর সৃষ্টির অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণেই শুক্রবার ফজিলতপূর্ণ। তাই বান্দার পক্ষ থেকে শুক্রবারের নামাজ আল্লাহ তাআলার দরবারে অনেক মূল্যবান।

আল্লাহ তাআলা ইচ্ছা করলেন যে, তার প্রিয় বান্দারা সপ্তাহে অন্তত একদিন সবাই একত্রিত হয়ে তাঁর ইবাদাত করুন। তাই তিনি কুরআনে এ দিনের নামাজের ব্যাপারে ঘোষণা করলেন, ‘হে মুমিনগণ! জুমআর দিনে যখন নামাজের জন্য আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ। (সুরা জুমআহ : আয়াত ৯)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস থেকে জানা যায়, সপ্তাহের দিন গুলোর মধ্যে জুম`আর দিন সর্বশ্রেষ্ঠ দিন। এ দিন হযরত আদম (আ) কে সৃজন করা হয় এবং এদিনই তাকে বেহেশতে স্থান দেয়া হয়, আবার এদিনেই তাকে বেহেশত থেকে বের করে দুনিয়ায় পাঠানো হয় এবং এদিনেই কেয়ামত সংঘটিত হবে। এদিন অধিক ফজিলতের দিন। এ দিনে তোমরা অধিক পরিমাণে দুরূদ পাঠ কর। তোমরা যখন দুরূদ পড়বে তখনই তা আমার সামনে পেশ করা হবে। আমি সাথে সাথেই এর প্রতি উত্তর দিই।

হাদিসে এসেছে- যে ব্যক্তি বিনা ওজরে তিন জুমআ তরক করবে, আল্লাহ তার অন্তরে মোহর মেরে দেবেন। (নাউজুবিল্লাহ)

সুতরাং মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের জন্য এক অপূর্ব নিয়ামাত হলো জুমআর দিন। এ দিনের প্রতিটি মুহূর্তের প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জুমআর দিনের প্রতিটি মুহূর্তকে যথাযথভাবে ইবাদাত-বন্দেগির মাধ্যমে কাটিয়ে দেয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!