রাজধানীর কলাবাগানে জুলহাস মান্নান ও মাহবুব তনয় হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার শরীফুল ইসলাম শিহাব (৩৭) ছাড়াও ঘটনার মূল হোতাসহ আরও তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
রোববার দুপুরে মিন্টু রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি। তারা এপ্রিল মাসের প্রথম থেকেই এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করছিলেন বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি জানান, জুলহাস হত্যায় যে দু’টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিলো তার মধ্যে সার্টার গানটি গ্রেফতার হওয়া শিহাবের। শিহাব ১৯৯৮ সাল থেকে হরকাতুল জিহাদের (হুজি) সদস্য ছিলেন। তবে ২০১৫ সালে তিনি যোগ দেন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে তিনি সংগঠনটির কুষ্টিয়া অঞ্চলের একটি ইউনিটের দায়িত্বে আছেন। ব্লগারদের পাশাপাশি কুষ্টিয়া অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের জন্য স্থানীয় একজন সাবেক চেয়ারম্যানকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন শিহাব।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শনিবার রাতে কুষ্টিয়া সদর এলাকার ছয় রাস্তার মোড় থেকে শিহাবকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৪টি মোবাইল, একটি ট্যাব জব্দ করা হয়।
মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে শিহাব এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তবে তিনি দাবি করেছেন, এই হত্যাকাণ্ডে সিসিটিভি ফুটেজে যে পাঁচজন দৌড়ে পালাচ্ছিলো তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন না। ব্যাকআপ সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।’
‘শিহাব স্কুল-কলেজের পর মাদ্রাসায় পড়াশুনা করেছেন। মাদ্রাসার পড়া শেষে তিনি মৌলভীবাজারে এক ব্যক্তির মাধ্যমে হুজিতে যোগ দেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ধারণা, পহেলা বৈশাখের পরপরই জুলহাস-তনয়কে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছে।’
গত ২৫ এপ্রিল কলাবাগানে ৩৫ উত্তর ধানমন্ডিতে একটি বাড়ির দোতলায় বাসায় ঢুকে জুলহাস ও তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/আমা
আপনার মতামত লিখুন :