• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জ্যাকবের মৃত্যুতে বাংলাদেশ শোকাভিভূত


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ১৪, ২০১৬, ১২:১৭ পিএম
জ্যাকবের মৃত্যুতে বাংলাদেশ শোকাভিভূত

সোনালীনিউজ ডেস্ক

১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সৈন্যদের আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালনকারী ভারতীয় জেনারেলের মৃত্যুতে শোকাভিভূত বাংলাদেশ। স্বাধীনতা লাভের মুহূর্তে ঐতিহাসিক দায়িত্ব সম্পন্ন করার ৪৪ বছর পর তিনি বুধবার ৯২ বছরে বয়সে পরলোকগমন করেন। 
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের সাবেক লে. জেনারেল জ্যাকবের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশ তাকে মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু সম্মাননা প্রদান করেছে। 
রাষ্ট্রপতি তাঁর শোক বার্তায় জেনারেল জ্যাকবকে ‘আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর সৈনিক হিসেবে’ উল্লেখ করে বলেছেন, বাংলাদেশ তার মৃত্যুতে একজন প্রকৃত বন্ধুকে হারিয়েছে। 
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জাতি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অবদানের জন্য গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে তাকে চিরদিন স্মরণ করবে। 
সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রীবর্গ এবং বেশ কিছু সামাজিক ও রাজনৈতিক ফোরাম নয় মাসব্যাপী যুদ্ধের পুরো সময়ে জুড়ে ভারতীয় জেনারেলের ভূমিকার কথা স্মরণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। 
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর জ্যাকবের ভূমিকাকে যুদ্ধ কৌশলবিদ ও ইতিহাসবিদরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি ঢাকায় অবতরণ করার পরপরই তৎকালীন পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর কমান্ডার লে. জেনারেল এ এ কে নিয়াজিকে আত্মসমর্পণ করতে রাজি করিয়েছিলেন। পরবর্তী ঘটনা প্রবাহ প্রমাণ করে যে, বৈশ্বিক রাজনৈতিক ও সামরিক প্রেক্ষাপটে নাটকীয় ও স্পর্শকাতর কর্মকান্ডের মধ্যে সেদিন পাকিস্তানী সৈন্যদের আত্মসমর্পণ ছিল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। 
পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে জ্যাকবকে সেদিন সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ে আত্মসমর্পণের দলিল স্বাক্ষর করার বিষয়ে শত্রু  কমান্ডারকে রাজি করানোর সবচেয়ে কঠিন কাজটি করতে হয়েছিল। 
বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের ৪০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ১৯৭১ সালের বিশিষ্ট 
বৃটিশ ভারতের অধীন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সীতে জন্মগ্রহণকারী জ্যাকব ১৯ বছর বয়সে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এবং ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে লড়াই করেছেন। তিনি ১৯৭৮ সালে অবসর গ্রহণ করেন। 
পরে তিনি গোয়া ও পাঞ্জাব রাজ্যের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সোনালীনিউজ/আমা

Wordbridge School
Link copied!