সোনালীনিউজ ডেস্ক
আধুনিক প্রযুক্তির কারণে মানুষের সুযোগ-সুবিধা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে তথ্য চুরির ঘটনা৷জনপ্রিয় ফোর্বস ম্যাগাজিন জানাচ্ছে, কোন সাতটি উপায়ে আপনি খুব সহজেই ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষা করতে পারেন৷
১. নামে গুগল অ্যালার্ট ব্যবহার করুন
এটা খুব সহজ পন্থা৷ আপনি যদি দেখতে চান ইন্টারনেটে আপনার সম্পর্কে সবাই কী বলছে৷ সোজা এই ঠিকানায় যান – http://www.google ডট কম/Alert এবং আপনার নাম লিখুন৷ তারপর আপনার নামের বিভিন্ন ধরন লিখে, তার আগে ও পরে কোটেশন মার্ক জুড়ে দিন৷
২. পাসওয়ার্ড নিজের কাছে রাখুন
কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটের পাসওয়ার্ড যেন কখনই এক না হয়৷ আর ব্যাংক কার্ডের সঙ্গে যেন এই পাসওয়ার্ডের মিল না থাকে৷ এছাড়া কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটে কোনও পাসওয়ার্ড লিখে রাখবেন না৷ এর ফলে আপনার তথ্য চুরির সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়৷ বাড়ির বাইরে গেলে এগুলি লক করে যাবেন৷
৩. ব্যবহারের পর লক্ষ্য রাখা
আপনি যদি অন্য কারও কম্পিউটার বা ট্যাবলেট ব্যবহার করেন, তবে একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন৷ আপনার পর যিনি সেটা ব্যবহার করবেন, তিনি যাতে আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে না পারে – সেটা খেয়াল রাখুন৷ আপনি যদি এটা করতে ভুলে যান, তাহলে ফলাফল ভয়াবহ হতে পারে৷
৪. ফোন, ই-মেল বা জিপ কোড ব্যবহার করতে না দেওয়া
অচেনা কোনও মানুষ এই নম্বরগুলো জানতে চাইলে, আপনারা দেবেন না৷ দেখা যায় কোনও অফিস তার কর্মীর কাছ থেকে এই সব তথ্য চাইলে, অনেকেই স্বেচ্ছ্বায় তা দিয়ে দেয়৷ বহু অফিস এই নিয়ে একটি প্রোফাইল তৈরি করে৷ আপনার কিন্তু এই সব তথ্য না দেওয়ার অধিকার আছে৷ তাই আপনি যদি এতে স্বাচ্ছ্বন্দ্যবোধ না করেন, তবে দেবেন না৷
৫. কার্ড নয় ক্যাশ
আপনি যদি চান আপনি যে পণ্যটি কিনছেন, সেই কোম্পানি আপনার পরিচয় না জানুক, তবে নগদ অর্থে জিনিস কিনুন৷
৬. ফেসবুকে নিরাপত্তার জন্য ফ্রেন্ডস ব্যবহার করুন
ফেসবুকে সবসময় সিকিউরিটি বা নিরাপত্তা পরীক্ষা করুন৷ পোস্ট করার পর লক্ষ্য রাখুন আপনি আপনার ছবি বা মন্তব্য ফ্রেন্ডস করে রেখেছেন, নাকি পাবলিক করেছেন৷ আপনি যদি স্পেশ্যাল নির্বাচন করেন এবং ঠিক করে দেন কে কে আপনার পোস্ট দেখতে পাবে, তবে সেটা আপনার তথ্য নিরাপত্তার জন্য তুলনামূলকভাবে ভালো৷
৭. হিস্ট্রি এবং কুকিস মুছে ফেলুন
আপনি সবশেষ কবে এটা করেছেন? আপনি যদি নিশ্চিত না হন, ব্রাউজারে গিয়ে এটা পরিবর্তন করুন৷ ব্রাউজারের প্রাইভেসি সেটিংস -এ যান, সেখানে নেভার রিমেমবার হিস্ট্রি নির্বাচন করুন৷ এর ফলে ইন্টারনেটে আপনাকে ট্র্যাক করাটা হ্যাকারদের জন্য কঠিন হবে৷ এছাড়া আপনি অ্যাড অন-ও ব্যবহার করতে পারেন৷(ফোর্বস ম্যাগাজিন)
সোনালীনিউজ/এন
আপনার মতামত লিখুন :