• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
বাজেট আলোচনায় সরকারি এমপিরা

তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠককারীদের বিচার দাবি


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ১৩, ২০১৮, ০১:৪২ পিএম
তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠককারীদের বিচার দাবি

ঢাকা : লন্ডনে অবস্থানকারী বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে ‘সাজাপ্রাপ্ত আসামি’ উল্লেখ করে সরকারদলীয় সংসদ সদস্যরা তার সঙ্গে বৈঠককারীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে কোনো জাতীয় ঐক্য হতে পারে না। স্বাধীনতাবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের সন্তান ও উত্তরসূরিদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশ বন্ধ এবং যারা চাকরিতে আছেন তাদের বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।  

সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ সালের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনার সূচনা দিনে মঙ্গলবার (১৩ জুন) তারা এসব কথা বলেন। এই দিনও বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্যরা আর্থিক খাতের দুর্নীতি বন্ধ করতে না পারায় অর্থমন্ত্রীর প্রতি বিষোদগার অব্যাহত রাখেন। তাদের অভিমত, প্রস্তাবিত বাজেটে লুটেরাদের পুরস্কৃত করার ব্যবস্থা রয়েছে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, সরকারি দলের খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মাহমুদুস সামাদ চৌধুরী, ইসরাফিল আলম, মোহাম্মদ নোমান, কবি কাজী রোজী, জাসদের নাজমুল হক প্রধান ও বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ নোমান ও শামীম হায়দার পাটোয়ারী।  

আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জাতীয় ঐক্য গড়ার আহ্বানের সমালোচনা করে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, কাদের সঙ্গে জাতীয় ঐক্য হবে? বিএনপি-জামায়াত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের সঙ্গে? স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে ঐক্য হতে পারে না।
বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ঐক্য গড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুধু বদরুদ্দোজা নন, এর পেছনে আরো অনেকে আছেন। এরা কি ষড়যন্ত্র করছেন? তিনি বলেন, এর সঙ্গে রয়েছেন মাহমুদুর রহমান মান্না। মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকা কী ছিল আমার জানা নেই। তবে তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দল করেছেন। সেই ব্যক্তি এখন বিভিন্ন ছবক দিচ্ছেন।  

মন্ত্রী আরো বলেন, কোটা সংস্কারের নামে যারা আন্দোলন করতে গিয়ে ভিসির বাসায় হামলা করেছে তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধীদের সন্তান ও তাদের উত্তরসূরিদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। এমনকি স্বাধীনতাবিরোধীদের যারা এখনো সরকারি চাকরিতে বহাল আছেন তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। স্বাধীনতাবিরোধীদের সন্তানদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দিলে ওরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধ্বংস করবে। তিনি স্বাধীনতার চেতনাবিরোধীদের সম্পদ বাজেয়াফত করার দাবি জানান।  

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামির সঙ্গে শুধু বৈঠকই করেননি, ভূরিভোজও করেছেন। একজন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার আইনের ব্যত্যয় ঘটে কি না, সেটা খতিয়ে দেখে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী।
নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন, সেদিকে মনোযোগী না হয়ে বিএনপি এখন বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে। তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে। দেশবাসী আগামী নির্বাচনেও এদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে।  

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নোমান বলেন, ব্যাংক খাতে লুটপাট নিয়ে কথা বলা যাবে না, চুরি করলে চোর বলা যাবে না, এটা কোন মহারাজার দেশে বাস করছি?

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরি হয়ে গেল, কোনো হদিস নেই, জবাবদিহিতা নেই। তদন্ত কমিটি হলো, রিপোর্ট প্রকাশ করল না। তাহলে তদন্ত কমিটি কেন করলেন? যাদের নাম প্রকাশ করতে পারলেন না তারা কি রাষ্ট্র চালায়? তারা কি রাষ্ট্রের চাইতেও ক্ষমতাধর?

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!