• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

তাসামুলের অপরাজিত সেঞ্চুরি মাশরাফির কলাবাগানের জয়


ক্রীড়া প্রতিবেদক জুন ৪, ২০১৬, ০৭:৩৪ পিএম
তাসামুলের অপরাজিত সেঞ্চুরি মাশরাফির কলাবাগানের জয়

তাসামুল হকের অপরাজিত সেঞ্চুরির সুবাদে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে মাশরাফি বিন মর্তুজার কলাবাগান ক্রীড় চক্রের (কেসি) কাছে আবারো হোঁচট খেল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। শনিবার ফতুল্লাহর খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলায় কলাবাগান কেসি ৬ উইকেটে হারিয়েছে মুশফিকুর রহিমের মোহামেডানকে। তাতে বিফলে গেছে বিপুল শর্মার সেঞ্চুরি।
এদিনের জয়ের ফলে দশ খেলায় ১০ পয়েন্ট নিয়ে সুপার সিক্সে খেলার আশাকে বাঁচিয়ে রাখল কলাবাগান কেসি। অপরদিকে সমান সংখ্যক খেলা থেকে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগে ওঠা আরো বিলম্বিত হল মোহামেডানের।

এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে মোহামেডান। জবাবে হাসানুজ্জামানের অনবদ্য ৯৫ রান আর তাসামুল হকের হার না মানা সেঞ্চুরিতে ৪৩.১ ওভারে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে তরী ভেড়ায় কলাবাগান ক্রীড়া চক্র।

উভয় দলের এদিন ছিলো লিগের দশম ম্যাচ। দশ খেলা শেষে ১০ পয়েন্ট নিয়ে সেরা ছয়ের খেলার সম্ভাবনা জিইয়ে রাখল মাশাফির কলাবাগান কেসি। অপরদিকে সমান সংখ্যক খেলা থেকে ১২ পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে নেমে গেছে মোহামেডান। শনিবার কলাবাগানের জয়ে ফলে দারুণভাবে জমে উঠেছে সুপার সিক্সে ওঠার লড়াই। সুপার সিক্সের শেষ তিনটি দল নিশ্চিত হতে শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে। শেষ ম্যাচে মাশরাফির কলাবাগান কেসি মুখোমুখি হবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমীর বিপক্ষে। তাই সুপার সিক্সে খেলার দারুণ সুযোগ রয়েছে মাশরাফির দলেরও।

এর আগে শনিবার সকালে মোহামেডানের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে মোহামেডান। দলীয় ২২ রানে ওপেনার হামিদুল ইসলামকে হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে নাঈম ইসলামের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়ে দলের প্রাথমিক চাপ সামলে নেন অপর ওপেনার ইজাজ আহমেদ। দলীয় ৬৭ রানে ইজাজ আহমেদকে হারানোর পর আর মাত্র ২ রান যোগ করতেই নাঈমকে হারিয়ে আবারো চাপে পড়ে মোহামেডান।

তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ভারতীয় ব্যাটসম্যান বিপুল শর্মাকে নিয়ে দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম। ১৭১ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন এ দুই ব্যাটসম্যান। শেষ দিকে আরিফুল হক ও হাবিবুর রহমানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২৯০ রানের বড় সংগ্রহই পায় মুশফিকের মোহামেডান। কলাবাগান কেসির বিপক্ষে শনিবার দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান বিপুল শর্মা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০০ রান করেন তিনি। ৮৬ বলে ৬টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ৭১ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৭৫ রান করেন মুশফিক। এছাড়া ইজাজ করেন ৩২ রান। কলাবাগানের পক্ষে ৭৭ রানে ৩টি উইকেট পান দেওয়ান সাব্বির। এছাড়া আব্দুর রাজ্জাক, শাহবাজ চৌহান ও তানভির হায়দার প্রত্যেকে ১টি করে উইকেট পান।

মুশফিকের দলের দেয়া ২৯১ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে শুরুতেই জসীমউদ্দিনকে হারায় কলাবাগান কেসি। এরপর লিগের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা হাসানুজ্জানকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন তাসামুল হক। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলের পক্ষে ১৪০ রান যোগ করেন তারা। এদিন শুরু থেকেই ব্যাটে ঝড় তোলা হাসানুজ্জামান ৯৫ রানের কার্যকরী একটি ইনিংস খেলেন। মাত্র ৫৩ বল মোকাবেলা করে ৪টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন এই উদীয়মান ক্রিকেটার।

এরপর দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তাসামুল হক। ছয় নম্বরে নেমে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন তানভীর হায়দার। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তাসামুল হক। ১২৯ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। এছাড়া ৫৯ বলে ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন তানভীর।

মোহামেডানের পক্ষে ৩৫ রানে ২টি উইকেট পান নাঈম ইসলাম। এছাড়া নামজুল হোসেন ও নাঈম ইসলাম জুনিয়র ১টি করে উইকেট পান। শেষ পর্যন্ত সবাইকে পেছনে ফেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন কলাবাগান কেসির তাসামুল হক।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!