• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণীর ক্ষেত্রে অভিন্ন নিয়োগবিধি


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৬, ০৩:৩০ পিএম
তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণীর ক্ষেত্রে অভিন্ন নিয়োগবিধি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং তার আওতাধীন অধিদফতর, দফতর, পরিদফতর, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা ও করপোরেশনে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর লোকবল নিয়োগ দেয়া হবে অভিন্ন নিয়োগবিধিতে।

সরকারি বিভিন্ন দফতরে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর জনবল নিয়োগে ভিন্ন ভিন্ন নিয়োগবিধি অনুসরণ করায় বিভিন্ন পদে কর্মরতদের চাকরি নিয়মিতকরণ, স্থায়ীকরণ, পদোন্নতি ও পদায়ন নিয়ে বড় ধরনের জটিলতা দেখা দিচ্ছে। ভবিষ্যতে অনাকাক্সিক্ষত ঝামেলা এড়াতেই সরকারি সব প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণী পদের জন্য কমন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন করেছে সরকার। ইতিমধ্যে সেটা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদনের জন্য প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সচিব কমিটির কাছে পাঠানো প্রস্তাবে বলা হয়, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কমন পদগুলো হচ্ছে নিম্নমান সহকারী, প্লেইন পেপার কপিয়ার, ডুপ্লিকেটিং মেশিন অপারেটর, সাঁটলিপিকার, সাঁটমুদ্রাক্ষরিক, অফিস সহকারী-কাম-মুদ্রাক্ষরিক, মুদ্রাক্ষরিক-কাম-অফিস সহকারী, ডেসপাস রাইডার, দফতরি ও এমএলএসএস। এক্ষেত্রে সচিবালয়ের ভেতরের কমন উল্লিখিত পদের জন্য বিশেষ নিয়োগ বিধিমালা-২০১০ অনুসরণ করা হয়। তাছাড়া সচিবালয়ের ভেতরের ক্যাডারবহির্ভূত গেজেটেড কর্মকর্তা ও নন-গেজেটেড কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা-২০১৪ অনুসরণ করা হয়।

এসব নিয়োগবিধিতে কমন পদের জন্য কমন যোগ্যতা চাওয়ার বিধান রয়েছে। অন্যদিকে সচিবালয়ের বাইরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনস্থ সংস্থা, পরিদফতর ও দফতরের নিয়োগবিধিতে কমন পদের জন্য কমন যোগ্যতা চাওয়া হয়নি।

সূত্র জানায়, সরকারি এক সংস্থার নিয়োগবিধির সঙ্গে অন্য সংস্থার নিয়োগবিধির মিল নেই বরং বিপরীতধর্মী। ফলে বিভিন্ন সংস্থায় একই সময়ে একই পদে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তির চাকরি স্থায়ীকরণ, নিয়মিতকরণ এবং পদোন্নতিতে কেউ আগে আবার কেউ পিছে পড়ে যাচ্ছে। এ ধরনের সমস্যা নিয়ে দেশের বিভিন্ন আদালতে বিশেষ করে উচ্চ আদালতে মামলাও রয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে সরকার মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে শুরু করে অধীনস্থ অধিদফতর, দফতর, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের সাংগঠনিক কাঠামোতে কমন পদে নিয়োগ পদ্ধতি ও যোগ্যতা অভিন্ন হওয়া দরকার বলে মনে করছে। সে প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে তৈরি করা কমন নিয়োগ বিধিমালার ওপর বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত নেয়া হয়েছে। সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে এ বিষয়ে অনাপত্তি পাওয়া গেছে। প্রস্তাবটি প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।

সূত্র আরো জানায়, কমন নিয়োগবিধি না থাকার কারণে রাজউকের নিয়োগবিধিতে বলা হয়েছে- ইউডি পদে আট বছর চাকরি করলে অফিস সুপার পদে পদোন্নতি পাওয়া যাবে। আবার একই পদ হওয়া সত্ত্বেও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের নিয়োগবিধিতে বলা হয়েছে, ১২ বছর চাকরি করলে অফিস সুপার পদে পদোন্নতি পাওয়া যাবে। ফলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। সেক্ষেত্রে এখন সরকারি সিদ্ধান্ত হচ্ছে- মন্ত্রণালয় থেকে মাঠ পর্যায়ের সব স্তরের কমন পদের জন্য কমন নিয়োগবিধি থাকবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএএইচ/০২০২২০১৬

Wordbridge School
Link copied!