• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দুনিয়াতেই বেহেশতের সুসংবাদ পেয়েছিলেন যারা


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ২৮, ২০১৬, ০৪:৩০ পিএম
দুনিয়াতেই বেহেশতের সুসংবাদ পেয়েছিলেন যারা

দুনিয়াতে অনেক সাহাবিই জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন। যেমন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিভিণ্ন সময় বলতেন, তোমরা যদি জান্নাতি লোক দেখতে চাও; তবে এ লোকটিকে দেখো। তাছাড়াও দশজন সম্মানিত সাহাবি দুনিয়াতেই বেহেশতের সুসংবাদ পেয়েছিলেন। তাদের পরিচয় তুলে ধরা হলো-

১. ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু। তাঁর আসল নাম আবদুল্লাহ বিন উসমান বিন আমর। তাঁর উপাধি আতিক, সিদ্দিক। পুরুষদের মধ্যে তিনিই সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন। তার মাধ্যমেই হজরত উসমান বিন আফফান, হজরত যুবাইর, হজরত তালহা, হজরত আবদুর রহমান বিন আউফ প্রমুখ বড় বড় সাহাবি ইসলাম গ্রহণ করেছেন। তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হিজরতের সাথী ছিলেন। তিনি ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।

২. ইসলামে দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু। তিনিই সর্বপ্রথম আমিরুল মুমিনীন খেতাবে ভূষিত হন। তার খেলাফতকাল ছিল দশ বছর ছয় মাস চার দিন। আল্লাহ তাআলা তাঁর দ্বারা ইসলামকে শক্তিশালী করেছেন এবং অর্ধ্বজাহানব্যাপী ইসলামের পতাকাকে উড্ডীন করেছেন।

৩. ইসলামের তৃতীয় খলিফা হজরত উসমান বিন আফফান বিন আবিল আস রাদিয়াল্লাহু আনহু। তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দুই কন্যাকে বিবাহ করেছিলেন। তিনি ছিলেন দানশীল এবং আল্লাহর ভয়ে অধিক ক্রন্দনকারী।

৪. ইসলামের চতুর্থ খলিফা হজরত আলি বিন আবু তালিব বিন আবদুল মুত্তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু। বালকদের মধ্যে সর্ব প্রথম সাত বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেন। তবুক ছাড়া তাঁর সময়কালে সংঘটিত সকল যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জামাতা।

৫. হজরত তলহা বিন উবাইদুল্লাহ বিন উসমান বিন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু। উহুদ যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে তিনি অত্যন্ত মজবুতভাবে অবস্থান নিয়েছিলেন এবং শরীরের চব্বিশ স্থানে আঘাত পেয়েছিলেন। তখন বিশ্বনবি তাঁর নাম রেখেছিলেন ত্বালহাতুল খায়র। তিনি জামাল যুদ্ধে শাহাদত বরণ করেন।

৬. হজরত যুবাইর ইবনে আওয়াম রাদিয়াল্লাহু আনহু। তাঁর জীবদ্দশায় সংঘটিত ইসলামের সকল যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। তিনি আল্লাহর রাহে সর্বপ্রথম তরবারি পরিচালনা করেন এবং হাবশায় হিজরত করেন। তাঁর আকৃতিতেই ফেরেশতাগণ বদর যুদ্ধে অবতরণ করেছিলেন। তিনিও জামাল যুদ্ধে শাহাদত বরণ করেন।

৭. হজরত আবদুর রহমান বিন আউফ রাদিয়াল্লাহু আনহু। তিনি হাবশায় হিজরত করেছিলেন এবং সকল যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

৮. হজরত সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু। তিনি সর্বপ্রথম আল্লাহর রাহে তীর নিক্ষেপকারী। উহুদ যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বলেছিলেন, তোমার ওপর আমার মা, বাবা কুরবান হোক, তীর নিক্ষেপ কর। তিনি সকল যুদ্ধে শরীক হয়েছেন।

৯. হজরত সাঈদ বিন যায়েদ ইবনে উমর বিন নুফাইল রাদিয়াল্লাহু আনহু। বদর যুদ্ধ ছাড়া অন্য সকল যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

১০. হজরত আবু উবাইদাহ আমের বিন আবদুল্লাহ বিন জাররাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু। সকল যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনিই উহুদ যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চোয়ালে বিঁধে যাওয়া লৌহবর্ম দাঁত দিয়ে বের করেছিলেন। তখন তার সামনের দুই দাঁত পড়ে গিয়েছিল।

আল্লাহ তাআলা সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে এ সুসংবাদ প্রাপ্ত সাহাবায়ে কেরামের চারিত্রিক জজবা বা প্রেরণা দান করুন। আমিন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!