• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ধর্ষণ প্রমাণে ‘টু-ফিঙ্গার’ টেস্ট নিষিদ্ধ


আদালত প্রতিবেদক এপ্রিল ১২, ২০১৮, ০৭:১২ পিএম
ধর্ষণ প্রমাণে ‘টু-ফিঙ্গার’ টেস্ট নিষিদ্ধ

ঢাকা: ধর্ষণের শিকার নারীর মেডিকেল পরীক্ষায় ‘টু-ফিঙ্গার’ (‘দুই-আঙ্গুলের’ মাধ্যমে পরীক্ষা) পদ্ধতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের বেঞ্চ এ রায় দেন। 

এর আগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা এই পদ্ধতিকে ‘সেকেলে ও অনৈতিক’ উল্লেখ করে মতামত দেওয়ার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি করেন আদালত। 

একই সঙ্গে বর্তমানে ধর্ষণের পরীক্ষার জন্য সরকারের করা হেলথ কেয়ার প্রটোকলে বর্ণিত পদ্ধতি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। পরীক্ষার সময় ভিকটিমের আত্মীয়, নারী চিকিৎসক, নারী পুলিশ, নারী নার্স রাখতে বলা হয়েছে। 

এ সংক্রান্ত নীতিমালা সবার কাছে পৌঁছানোর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। ধর্ষণ মামলার বিচারকালে আইনজীবী কখনো ভিকটিমকে অমর্যাদাকর প্রশ্ন করতে পারবেন না বলেও রায়ে উল্লেখ করেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলে এস এম নাজমুল হক।

সনাতন এই পদ্ধতিতে ধর্ষণের পরীক্ষা করার কারণে অনেক ভিকটিম পরীক্ষা করতে আসে না। আর এ কারণে অনেকে ধর্ষিত হয়েও বিচার পায় না। ভারতে এ পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছে। এসব বক্তব্য তুলে ধরে ভিকটিমরা যাতে সুবিচার পায়, সেটা নিশ্চিত করতে নতুন পদ্ধতি প্রবর্তনের জন্য ২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর মানবাধিকার সংগঠন আইন ও শালিস কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, ব্র্যাক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, নারীপক্ষ নামে ছয়টি পৃথক সংগঠন এবং দুই জন ব্যক্তি হাইকোর্টে রিট করেন। 

আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ১০ অক্টোবর হাইকোর্ট ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার নারীদের ডাক্তারি পরীক্ষা সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়। পুলিশ, চিকিৎসক, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের জন্য সমন্বিত ওই নীতিমালা তৈরি করে তা তিন মাসের আদালতে দাখিল করতে বলেন। স্বাস্থ্য সচিবকে এ নীতিমালা করার জন্য একটি কমিটি গঠনেরও আদেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি রুলও জারি করেন আদালত।

এ আদেশের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে সভাপতি করে ১৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন স্বাস্থ্য সচিব। ওই কমিটির হাইকোর্টে একটি নীতিমালা দাখিল করেন। ধর্ষিত নারীর সঙ্গে হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট, পুলিশ, ডাক্তারসহ সবাইকে কেমন আচরণ করতে হবে ওই নীতিমালায় তা পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয়।

সোনালীনিউজ/জেএ

Wordbridge School
Link copied!