• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনে যাওয়ার পথ খুঁজছে বিএনপি 


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ১৩, ২০১৮, ০৫:১৬ পিএম
নির্বাচনে যাওয়ার পথ খুঁজছে বিএনপি 

ঢাকা: ডিসেম্বর ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও চলছে হিসাব-নিকাশ। কেমন নির্বাচন হবে, তা নিয়ে জনগণের মধ্যেও রয়েছে জল্পনা-কল্পনা। নির্বাচন নিয়ে ছক আঁকছে টানা ৯ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ। কিন্ত কী ভাবছে দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি?

বর্তমান পরিস্থিতিকে কঠিন সময় বলেই মনে করছেন বিএনপির অধিকাংশ নেতা। তারা বলছেন, জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর একবার বড় ধরনের সঙ্কটে পড়েছিল বিএনপি। বর্তমানে তার চেয়েও বড় সঙ্কট চলছে। জীবনের শেষ বেলায় দলীয় প্রধান দুর্নীতির মামলায় কারাগারে। পরবর্তী কাণ্ডারি তারেক রহমান লন্ডনে প্রবাস জীবনযাপন করছেন, যার দুই দফায় ১৭ বছরের সাজা হয়েছে। 

বিএনপির অভিযোগ, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে ছাড়াই বিএনপিকে নির্বাচনে যেতে বাধ্য করা যাবে বলে আওয়ামী লীগ ভাবছে। তবে শেষ পর্যন্ত উনারা (খালেদা ও তারেক) যেতে না পারলেও তাদের নির্দেশনা নিয়ে বিএনপি নির্বাচনে যেতেও পারে বলে মনে করছেন দলের একাংশের নেতারা। তাদের যুক্তি, নির্বাচনে বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে সব পরিস্থিতি অনুকূলে আসবে। আর কট্টরপন্থিরা মনে করছে, যে কোনো মূল্যে খালেদা ও তারেক রহমানকে নিয়েই নির্বাচনে যেতে হবে। ২০-দলীয় জোটের ঐক্য ধরে রেখেই আগামী দিনের আন্দোলন ও নির্বাচনে যেতে চায় বিএনপি। 

খালেদাবিহীন বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ কিংবা বর্জন নিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, আগে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি হোক তারপর এ বিষয়ে ভাবা যাবে। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য তার (খালেদা) ত্যাগ অনেক বেশি। আমি মনে করি, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে যদি সবার ভালো হয় তাহলে তিনি সেটিই করবেন। সেক্ষেত্রে তিনি তেমনই দিকনির্দেশনা দেবেন। এ ক্ষেত্রে এমাজউদ্দীন ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের উদাহরণ টানেন। 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে ধারাবাহিক আন্দোলনের মাধ্যমে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে। তবে আওয়ামী লীগ ‘৫ জানুয়ারি মার্কা’ (দশম জাতীয় সংসদ) আরেকটি একতরফা নির্বাচনের দিকে হাঁটছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। 

সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন নিশ্চিত করতে বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার আলোচনার আহ্বান জানানো হলেও সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে অভিযোগ দলটির মহাসচিবের। তিনি বলেন, নির্বাচনের আর মাত্র আট মাস বাকি। তবে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের আলোচনায় বসার কোনো লক্ষণ নেই। 

এলডিপি নেতা অলি আহমদ বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের আলামত দেখছে না জনগণ। কারণ দেশে রাজনীতি নেই। সরকারদলীয় নেতা-সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোট চাইছেন। আর বিএনপিপ্রধান কারাগারে। হিসাব স্পষ্ট, জোটনেত্রীকে না ছাড়লে ২০ দল নির্বাচনে যাবে না। আর আওয়ামী লীগ পুরনো কায়দায় ভোট করবে। সরকারের মেয়াদ বাড়বে। বর্তমান আবহ তা-ই বলে। 

বিজেপি নেতা পার্থ বলেন, যে দলটি দেশ চালাচ্ছে তারা রাজনীতি করছে না, প্রতিহিংসায় লিপ্ত। গণতন্ত্রের কবর দিয়ে অন্যদেরও রাজনীতি থেকে দূরে রাখছে। এককথায় রাজনীতির ভবিষ্যৎ ভালো নয়, ঘোর অন্ধকারাচ্ছন্ন। 

সোনালীনিউজ/জেএ

Wordbridge School
Link copied!