• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত : গয়েশ্বর


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ১৬, ২০১৬, ১০:৪১ পিএম
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত : গয়েশ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি আরও বলেন , দেশের রাজা যদি পুলিশই হয় তাহলে তো আপনার (প্রধানমন্ত্রীর)পদত্যাগ করা উচিত।

তিনি ডিসিসি কর্মকর্তাকে নির্যাতন করে পুলিশের দেয়া বক্তব্যের ( ‘মাছের রাজা ইলিশ,দেশের রাজা পুলিশ’) জের ধরে এ মন্তব্য করেন।

গয়েশ্বর আজ শনিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী ভবন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সভা শেষে এ মন্তব্য।

বিএনপি বিরোধী দল নয় উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, বর্তমানে বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। আমরা নিজেদের বিরোধী দল বলবো না এজন্য যে, দেশে কোনো বৈধ সরকার নেই।  দেশে যদি নির্বাচিত দলীয় সরকার থাকত তবে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকত।বর্তমানে যে বিরোধী দল আছে, সেটা বিরোধী দল নয়, বরং সরকারি দলের একটি অংশ।

সিটি করপোরশনের এক কমকর্তাকে পুলিশ বেধড়ক লাঠিপেঠা করে বলেছে ‘মাছের রাজা ইলিশ আর দেশের রাজা পুলিশি এ বিষয়ে গয়েশ্বর বলেন, শেখ হাসিনাকে আমি বলবো আপনি আজই পদত্যাগ করুন। কারণ পুলিশই যখন দেশের রাজা, তাহলে আপনি কে?
 
এ সময় ঢাকা মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের কারাবাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি হয় তো সবক্ষেত্রে সফল হতে পারেননি। তবে, তার বিএনপিতে অবদান কম নয়। তিনি জেলে গেছেন কোনো টু শব্দ নাই। ঘরে বসে জেলের তালা ভাঙা যায় না। জেলের তালা ভাঙতে হলে সময় মতো যথাস্থানে থাকতে হয়।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে  গয়েশ্বর বলেন, আজকের সভায় যাদের একান্তই থাকার কথা ছিল, তাদের উপস্থিতি অত্যন্ত কম। আর যাদের থাকার কথা নয় তারাও আসছেন। এটা সমস্যা। সব মিটিংয়ে সবার আসার দরকার নেই। মহানগর বিএনপির এক চতুর্থাংশ নেতাকর্মী পলাতক। ৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার মঞ্চে যাদের থাকার কথা ছিল না, তারা অনেকে সেখানে ছিলেন। যাদের মঞ্চের ২০ গজের মধ্যেও থাকার কথা নয়, তারাও এসেছেন নির্লজ্জের মতো। এদের কী বলবো!

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত ড. আর এ গণিকেও স্মরণ করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, দলের সঙ্গে কখনও অভিমান করে দূরে সরে থাকেননি ড. আর এ গণি। এসময় ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয় অনুষ্ঠানে।

১৮ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমানের জন্মদিনের আলোচনা সভা, ১৯ জানুয়ারি জিয়ার মাজারে ফাতেহা পাঠ ও ২০ জানুয়ারি মির্জা আব্বাসসহ সব রাজনৈতিক নেতাকে কারাবন্দি রাখার প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত থেকে সফল করার আহবান জানান গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের মাজারে ঠিকঠাক মতো যেতে হবে। এটাই আমাদের ঠিকানা।

ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক কাজী আবুল বাশারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভূইয়া, যুববিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ।

 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/মে

 

Wordbridge School
Link copied!