• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বান্ডিলে কম ও জাল টাকা পাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক


জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জানুয়ারি ১১, ২০১৮, ১০:৫৫ পিএম
বান্ডিলে কম ও জাল টাকা পাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক

ঢাকা: কোনো কারণে টাকা অচল, ছিড়ে গেলে বা ব্যবহার অনপুযোক্ত হলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তা প্রতিদিন তা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়। এর বিনিময়ে নতুন বা ব্যবহারযোগ্য সম পরিমাণ টাকা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জমা দেয়া বান্ডিলগুলোতে দুই থেকে পাঁচটি পর্যন্ত নোট কম পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি জাল টাকাও পাওয়া যাচ্ছে।

এছাড়াও ব্যবহারযোগ্য নোটও বাতিলের বান্ডিলে পাওয়া যাচ্ছে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমাকৃত বান্ডিলে কম ও ব্যবহারযোগ্য নোট পাওয়া গেলে ব্যাংকগুলোতে জরিমানা করা হবে। জরিমানাকৃত অর্থ বাংলাদেশে ব্যাংকে থাকা ব্যাংকগুলোর হিসাব থেকে কর্তন করা হবে। বৃহস্পতিবার(১১ জানুয়ারি) সকল বাণিজ্যিক ব্যাংককে এই মর্মে একটি অফিস নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, নতুন, পুরনো, ছেঁড়া, ফাটা সব নোটের ক্ষেত্রে হ য ব র ল পাকিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা করছে কিছু ব্যাংক। নোটগুলো শ্রেণি অনুযায়ী ভাগ করে বান্ডিল করা হচ্ছে না। যে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক আগে নির্দেশনা দিয়েছিল। এতে শ্রম ও সময়ের অপচয় ছাড়াও সরাসরি নোট ধ্বংসকরণের উদ্দেশ্যও ব্যহত হচ্ছে। 

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমাকৃত নোট যাচাই-বাছাইকালে বিনিময় অযোগ্য প্রমাণিত হলেই ব্যাংকগুলোকে বাধ্যতামূলক নির্দিষ্ট অংকের জরিমানা গুণতে হবে।

২০১৫ সালের ৭ ডিসেম্বর এক সার্কুলারে ব্যাংকগুলোকে তিনভাগে বিভক্ত করে অর্থাৎ পুনঃপ্রচলযোগ্য, অপ্রচলনযোগ্য ও মিউটিলেটেড নোট শ্রেণি করে আলাদাভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। একটি শ্রেণির সঙ্গে আরেকটি শ্রেণির নোট যাতে না মিশে সে বিষয়ে বলা হয় নির্দেশনায়।

কিন্তু সম্প্রতি কিছু ব্যাংক তা মানছে না। গণনার সময়ে অনেক বান্ডিলে একশতটি নোট পাওয়া যাচ্ছে না। দুই থেকে পাঁচটি পর্যন্ত নোট কম পাওয়া যাচ্ছে। আবার যে নোটটির বিনিময় দেয়া যাবে না, এমন নোটও বান্ডিলের ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে। 

এ বিষয়ে নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টি ভল্টে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কর্তৃক জমাকৃত মিউটিলেটেড এবং অপ্রচলনযোগ্য নোট যাচাই-বাছাইকালে প্রায়শই বিনিময় অযোগ্য নোট যেমন- বহুখন্ডে খন্ডিত নোট, বিল্ট-আপ নোট, জাল নোট এবং নোট কম পাওয়ার মত অনিয়ম পাওয়া যায়। এ ধরনের অনিয়ম পাওয়া গেলে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণপূর্বক সেদিন আর কোন নোট ধ্বংস করা সম্ভব হয় না। বিনিময় অযোগ্য নোট এবং কমনোটের সংখ্যা হিসাব করে আদায়যোগ্য অর্থের পরিমাণ (জরিমানা) নির্ধারণ করা হবে।

এতে আরো বলা হয়, আপাতত ৫, ১০ ও ২০ টাকা মূল্যমানের নোট সরাসরি পদ্ধতিতে ধ্বংস করা হবে। এক্ষেত্রে ১ দিনে যে পরিমাণ নোট সরাসরি ধ্বংস করা হবে, তার মধ্যে ৫ টাকার মূল্যমানের নোটের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ, ১০ টাকা নোটের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ ও ২০ টাকা নোটের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ দ্বৈবচয়ন ভিত্তিতে পৃথক করে যথানিয়মে যাচাই ও পরীক্ষা করা হবে।

দ্বৈবচয়ন ভিত্তিতে পৃথক করা নোটের মধ্যে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোটের পরিমাণ শতকরা ১০ ভাগ বা তার বেশি হলে সংশ্লিষ্ঠ ব্যাংকের সমুদয় নোট পরীক্ষা ও যাচাই করে প্রাপ্ত পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোটের মোট মূল্যমানের উপর শতকরা ১ ভাগ জরিমানা আরোপ করা হবে।

সোনালীনিউজ/তালেব

Wordbridge School
Link copied!