• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিএনপির সামনে তিন লক্ষ্য


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮, ০৭:২৩ পিএম
বিএনপির সামনে তিন লক্ষ্য

ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের পাঁচ বছর কারাদণ্ড হওয়ার পর দল তিনটি লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেচে চায়। দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার মুক্তি, দলের ঐক্য অটুট রাখা এবং আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়াই। এই ত্রিমুখী রাজনৈতিক লক্ষ্য হাসিলের সার্বিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বিএনপি।

মূলত দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের দৃশ্যত আন্দোলনমুখী হতে উৎসাহিত করছে। আন্দোলনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশাজীবীসহ সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করার সর্বাধিক চেষ্টা চালাতে মনস্থির করেছেন দলের শীর্ষ নেতারা। এরই অংশ হিসেবে দলকে এক সুতোয় বাঁধার প্রচেষ্টা হবে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সক্রিয় তৎপরতা অব্যাহত রাখবে দলীয় কূটনৈতিক কোর কমিটি। অন্যদিকে আইনি লড়াইয়ে থাকবেন দলীয় ঘরানার ঝানু আইনজীবীরা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এসব তথ্য জানিয়েছেন। 

দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে আগামী জুন-জুলাই নাগাদ টেনে নেয়ার আগাম সিদ্ধান্ত দিয়ে গেছেন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পরে তা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে অনুসমর্থন করেছেন লন্ডন প্রবাসী জিয়া-তনয় তারেক রহমান। 

এদিকে রাজধানী ঢাকায় দলীয় মহাসমাবেশের প্রস্তুতির নির্দেশনা পেয়েছেন আন্দোলনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। চলতি মাসেই এ মহাসমাবেশ করার পরিকল্পনাও রয়েছে দলটির।

দলীয় সূত্র জানায়, ক্ষমতায় থাকাকালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে বিদেশ থেকে আসা এতিমদের অর্থ আত্মসাতের মামলার রায় ঘোষণার আগে দলের নীতিনির্ধারক, নির্বাহী কমিটি, উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন খালেদা জিয়া। ‘শান্তিপূর্ণ’ আন্দোলন করাসহ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়ে যান তিনি। এ ছাড়া তিনি লন্ডনে ফোনে পুত্র তারেক রহমানের সঙ্গে ৪৪ মিনিট কথাও বলেন। একই মামলার অন্যতম আসামি হিসেবে তারেকও অর্থদণ্ডসহ ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন।

মা-ছেলের নির্দেশনা মোতাবেক বিএনপি মামলার রায় ঘোষণার পর দু’দিন দেশজুড়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ পালন করে। এরপর টানা তিন দিনের আন্দোলনের কর্মসূচিরূপে মানববন্ধন, অবস্থান এবং প্রতীক অনশনের ডাক দেওয়া হয়। সোমবার মানববন্ধন পালিত হয়। মঙ্গলবার অবস্থান ও কাল বুধবার প্রতীক অনশন পালনের কর্মসূচি রয়েছে।

ধারাবাহিক আন্দোলনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মামলায় আদালতে প্রদত্ত কারাবন্দি খালেদা জিয়ার জবানবন্দি ও রায়ের সারাংশ সংবলিত লিফলেট বিতরণ, জেলা ও মহানগর পর্যায়ে সভা-সমাবেশ। এতে অংশ নেবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

এদিকে সাধারণ নির্বাচনের প্রাক-প্রস্তুতি শুরু করেছেন দলের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। সারা দেশে আসনভিত্তিক তিন স্তরের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা করা হয়েছে। আন্দোলনের সঙ্গে নির্বাচনী মাঠ গোছানোর জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্র থেকে।

সোনালীনিউজ/জেএ

Wordbridge School
Link copied!