• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিএনপি দমনে মামলাতেই ‘ভরসা’ ক্ষমতাসীনদের


জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিশেষ প্রতিনিধি মে ২৩, ২০১৬, ০৩:৫১ এএম
বিএনপি দমনে মামলাতেই ‘ভরসা’ ক্ষমতাসীনদের

বিএনপিকে আন্দোলন থেকে দমিয়ে রাখতে দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাদেরকে দৌড়ের ওপর রেখেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সরকারবিরোধী আন্দোলন নিয়ে বিএনপি আবার মাঠে নামবে, এমন তথ্যও রয়েছে ক্ষমতাসীনদের কাছে। তাই দলটির  দুর্বল জায়গাগুলো খুঁজে বের করে তাদের দমনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। বিএনপি যাতে আন্দোলনে রাজপথে নামতে না পারে সে জন্যে দলটির কর্মকাণ্ডের ওপর শাসকদলের কড়া নজরদারিও রয়েছে।

ক্ষমতাসীনেরা মনে করছে, ২০১৭ সালের শুরুতে রাজপথের আন্দোলনে নামতে পারে বিএনপি। যদি তাই হয়, তবে বিএনপি দমনে দলটির নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা বিভিন্ন মামলাকেই ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করবে আওয়ামী লীগ। দলটির নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন আভাস পাওয়া গেছে। যদি বিএনপি আন্দোলনের নামে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়, তাহলে দলটির নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে দায়ের করা মামলাগুলো সক্রিয় করে তোলা হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের শীর্ষ কয়েকজন নেতা জানান, বিএনপির ওপর আরেক দফা মামলা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ইতোমধ্যেই বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মামলাগুলো সক্রিয় করা হয়েছে। দমনের অংশ হিসেবেই খালেদা জিয়ার মামলাগুলো সক্রিয় ও দ্রুত শেষ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। মামলায় ব্যস্ত রেখে খালেদাকে এ বছর চাপে রাখা হবে। সরকারের অন্যতম কৌশল খালেদাকে মামলায় ব্যস্ত রাখা।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের আইনজীবী মহল সরকারের বিভিন্ন মহলকে ইতোমধ্যে অবহিত করেছে যে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা-তারেকের সাজা হবে। এ মামলার সকল ‘গ্রাউন্ড’ই সাজা হওয়ার মতো। খালেদা জিয়া ও তারেককে মামলার চাপে রাখা গেলে বিএনপির নড়াচড়া করার সুযোগ থাকবে না। কারণ,বিএনপির নেতারাও বুঝে গেছে মামলায় মা-ছেলে দুজনই দোষী সাব্যস্ত হবেন। তাই এ বছর খালেদা-তারেকের মামলা নিয়েই ব্যস্ত থাকবে আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে আগামী ২ জুন খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না থাকলে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার চাপ রয়েছে। অন্যদিকে তারেক জিয়াকেও দেশে ফিরিয়ে আনার একটি প্রক্রিয়া চলছে সরকারের ভেতরে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে বিএনপি এখনও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার পথ খুঁজে বেড়াচ্ছে। আসলে তারা রাজনীতির চেয়ে ষড়যন্ত্রেই বেশি অভ্যস্ত। তাই তাদের মোকাবেলার পথও সরকার ঠিক করে রাখবে এটাই স্বাভাবিক।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি সরকারকে উৎখাতের জন্যে ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে। তারা সুস্থধারায় রাজনীতি না করলে বা কোনও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করলে, যা করা প্রয়োজন তাই করা হবে। তিনি বলেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে আর কোনও আন্দোলন জনগণ মানবে না। নির্বাচন চাইলে বিএনপিকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। নির্বাচনের দাবিতে কোনও আন্দোলন গ্রহণযোগ্য হবে না সরকারের কাছে উল্লেখ করেন হানিফ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!