• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিএসটিআইয়ের লোগোযুক্ত বাটখারা ব্যবহার বাধ্যতামূলক


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৭, ০১:৪৫ পিএম
বিএসটিআইয়ের লোগোযুক্ত বাটখারা ব্যবহার বাধ্যতামূলক

ঢাকা: বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) লোগোযুক্ত বাটখারা ব্যবহার এবং দৈর্ঘ্য পরিমাপের জন্য মিটার পদ্ধতি ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। 

এরপর যদি কেউ বিএসটিআইয়ের লোগোবিহীন বাটখারা কিংবা মিটারের পরিবর্তে অন্য কোনো পরিমাপক ব্যবহার করে, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে বিএসটিআইয়ের ৩১তম কাউন্সিল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। 

সভায় দেশব্যাপী বিএসটিআইয়ের মাধ্যমে পণ্য ও সেবার মান নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। 

এ সময় বিএসটিআইকে আধুনিক ও শক্তিশালী করতে চলমান উন্নয়ন কর্মসূচি, জনবল বৃদ্ধি, নতুন প্রকল্প গ্রহণসহ অন্যান্য বিষয়েও আলোচনা হয়। এছাড়া ওজন ও পরিমাপে কারচুপি প্রতিরোধে ডিজিটাল স্কেল চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এ ধরনের পরিমাপক ব্যবহারে ব্যবসায়ী মহলে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এফবিসিসিআইয়ের সহায়তায় দেশব্যাপী চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পাশাপাশি এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিএসটিআইয়ের সরবরাহকৃত কনটেন্ট অনুযায়ী টেলিভিশন কমার্শিয়াল (টিভিসি) তৈরি করে তা বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভায় জানানো হয়, সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো থেকে সরবরাহকৃত গ্যাসের পরিমাপের সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য বিএসটিআই এরই মধ্যে একটি প্রকল্পের আওতায় সাতটি সিএনজি মাস্টার মিটার ক্রয় করেছে। এসব মিটারের মাধ্যমে সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোয় ফ্লো-কন্ট্রোলিং ডিভাইস টেম্পারিং করে ভোক্তা সাধারণকে ঠকানো হচ্ছে কিনা তা সরেজমিনে পরীক্ষা করা হবে। একই সঙ্গে তিতাস গ্যাস কোম্পানি থেকে সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো সঠিক পরিমাপে গ্যাস পাচ্ছে কিনা তাও তদারকি করা হবে।

সভায় জননিরাপত্তা এবং ভোক্তা সাধারণের জন্য মানসম্মত পণ্যের নিশ্চয়তা দিতে ২৯টি নতুন পণ্য বিএসটিআইয়ের বাধ্যতামূলক সার্টিফিকেশন মার্কস (সিএম) লাইসেন্সের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া বেভারেজের নামে এনার্জি ড্রিংকস উত্পাদন ও আমদানির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। যেসব প্রতিষ্ঠান এ ধরনের অনৈতিক কাজে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দ্রুত উকিল নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুষেণ চন্দ্র দাস, বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক সাইফুল হাসিবসহ শিল্প, মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ, বস্ত্র ও পাট, তথ্য, কৃষি, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ, স্বরাষ্ট্র, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রধান তথ্য অফিসার, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক, অর্থ বিভাগ, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বিসিএসআইআর, আমদানি ও রফতানি নিয়ন্ত্রক, ইপিবি, এফবিসিসিআই, এমসিসিআই, ডিসিসিআই, বিসিআই, ক্যাব, বুয়েটসহ কাউন্সিলের সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনিউজ/জেএ

Wordbridge School
Link copied!