• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ব্লেড দিয়ে সিজার, মাথা কেটে নবজাতকের মৃত্যু 


সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি আগস্ট ১২, ২০১৮, ০৯:২২ পিএম
ব্লেড দিয়ে সিজার, মাথা কেটে নবজাতকের মৃত্যু 

সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ২ হাতুড়ে গ্রাম্য ডাক্তার মিলে এক গর্ভবতী মহিলাকে ব্লেড দিয়ে সিজার করার পর  ফুটফুটে  এক নবজাতকের মাথার বিভিন্ন স্থানে কেটে মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে পুরো জেলা জুড়ে চলছে তীব্র সমালোচনার ঝড়। পাশাপাশি ওই নবজাতকের পরিবারের মধ্যে বইছে শোকের মাতম। 

এ ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার (৮ আগস্ট) তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরি ইউনিয়নের বড়খলা কান্দা হাটি গ্রামে। সংবাদ পেয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূর্নেন্দু দেব ও তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসেন ঘটনার দিনেই বড়খলা গ্রামে সরেজমিন যান।

জানা যায়, বুধবার সকাল ১১টার দিকে বড়খলা গ্রামের সুজিত বর্মন এর স্ত্রীর প্রসব ব্যাথা হয়। পরিবারের লোকজন বিষয়টি একই গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তার লাল মোহন বর্মন ও নুরুল আমিনকে জানায়। তাৎক্ষণিক ওই দুই হাতুড়ে ডাক্তার সুজিত বর্মণ এর বাড়িতে যায়।

তারা জানায়, বাচ্ছাটি মৃত তাই ব্যতা খুব বেশি হচ্ছে। তাড়াতাড়ি সিজার করতে না পারলে বাচ্ছার মায়েরও মৃত্যু হবে। পরে নিজ বসত ঘরের মধ্যেই দুই হাতুড়ে ডাক্তার মিলে ব্লেড দিয়ে (যোনিপথ) কেটে সিজার করার চেষ্টা করলে ব্লেডের আঘাতে বাচ্ছাটির মাথার বিভিন্ন জায়গায় কেটে যায়। এমতাবস্থায় রক্তাক্ত বাচ্ছাটিকে বাচাঁতে পার্শ্ববর্তী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে পথিমধ্যে বাচ্ছাটির মৃত্যু হয়। বর্তমানে বাচ্ছাটির মা বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

এ বিষয়ে কথা হয় স্বামী সুজিত বর্মনের সঙ্গে তিনি বলেন, আমার সুস্থ বাচ্ছাটি এমনভাবে মারা গেল, মায়ের অবস্থাও খারাপ আমি এখন কি করব ভাবতে পারছি না।

ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেনু মিয়া জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা গ্রাম্যভাবে বসেছিলাম, রোগী সুস্থ হওয়ার পর আমরা একটা সিদ্ধান্ত নেব।

হাতুড়ে ডাক্তার নুরুল আমিন ও লাল মোহন বর্মনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও নাম্বার দুটি বন্ধ পাওয়া যায়।

তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসেন জানান, ঘটনাটি শুনে আমি সরেজমিনে গিয়েছিলাম এবং আমি খুবই মর্মাহত হয়েছি। 

সোনালীনিউজ/জেএ

Wordbridge School
Link copied!