• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ১৭, ২০১৬, ১০:৪০ এএম
মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সোনালীনিউজ ডেস্ক

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী পাবনার মেয়ে মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ রোববার (১৭ জানুয়ারি)। ২০১৪ সালের এই দিনে তিনি চলে গেছেন না ফেরার দেশে। তিনি শুধু পাবনার মেয়ে নন, রূপে আর অভিনয় গুণে হয়ে উঠেছিলেন দুই বাংলার চলচ্চিত্রপ্রেমী মানুষের মহানায়িকা।
সুচিত্রা সেনের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ  দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবে সুচিত্রা সেন স্মরণসভার আয়োজন করেছে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ।
তৎকালীন বৃহত্তর পাবনার বেলকুচি উপজেলার সেন ভাঙ্গাবাড়ি গ্রামে নানা রজনীকান্ত সেনের বাড়িতে ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন রমা সেন। সুচিত্রা সেনের দাদার আগের পুরুষদের বাড়ি পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলায়। পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর লেনের একতলা পাকা পৈত্রিক বাড়িতে আজকের সুচিত্রা সেনের শিশুকাল, শৈশব ও কৈশরকাল কেটেছে।
১৯৮৯সালে লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে গিয়েছিলেন। স্বেচ্ছায়নির্বাসনে থাকা অবস্থায় ৮২বছর বয়সে ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারী তাঁর প্রয়াণ ঘটে। মহানায়িকার মহাপ্রস্থানে বাংলা চলচ্চিত্র হারিয়েছে এক নক্ষত্র।
সুচিত্রা সেনের বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত পাবনা পৌরসভার তৎকালীন সেনেটারি ইন্সপেক্টর পদে চাকরি করতেন। মা ইন্দিরা দাশগুপ্ত ছিলেন গৃহিনী। পাবনা শহরের মহাকালী পাঠশালায় পড়ালেখা শেষে সুচিত্রা সেন স্থানীয় পাবনা বালিকা বিদ্যালয়ে (বর্তমান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়) নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন। নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় ১৯৪৭ সালে দেশভাগের কিছু দিন আগে পারিবারিক প্রয়োজনে সুচিত্রা সেন কলকাতা চলে যান। ১৯৫১ সালের মাঝামঝি সময়ে সুচিত্রা সেনের বাবা করুণাময় দাসগুপ্ত সপরিবারে কলকাতায় চলে যান। সে সময় জেলা প্রশাসন ঊর্র্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসনের জন্য সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক ভিটা গোপালপুর মৌজার এসএ ৯৯ খতিয়ানভুক্ত ৫৮৭ এসএ দাগের ০.২১২৫ একর বাড়িটি রিক্যুইজিশন করেন। এরপর থেকে বাড়িটিতে সরকারি বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বসবাস করতে থাকেন এবং সর্বশেষ ছিলেন একজন প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট।
পাবনার সঙ্গীত শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মী শেখ তোজা ফাহমিদা চাঁদনী বলেন, সুচিত্রা সেনের মতো এত বড় একজন নায়িকা পাবনার মেয়ে-এটা আমাদের জন্য গর্বের একটি বিষয়। তার সব অভিনয় বা কর্মকান্ডে অনুপ্রাণিত হই। আমরা জানি পাবনায় তার পৈত্রিক বাড়িটি অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু সুচিত্রা সেনের জন্ম বা মৃত্যুদিনে তার বাড়িটিতে আমরা গিয়ে স্মৃতিচারণ করতে পারি না। আমরা চাই বাড়িটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক।
সোনালীনিউজ/আমা

Wordbridge School
Link copied!