• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমারে শান্তি আলোচনায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ১৩, ২০১৬, ০৫:৪৩ পিএম
মিয়ানমারে শান্তি আলোচনায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক

মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের সাথে শান্তি আলোচনা শুরুকয়েক দশক ধরে মিয়ানমারকে বিপর্যস্ত করে রাখা বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর লড়াই-সংগ্রামের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে রাজধানী নেপিডোতে শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে। পাঁচ দিনব্যাপী এ আলোচনার প্রথম দিন গতকাল মঙ্গলবার অং সান সু চি অঙ্গীকার করেন, শান্তিপ্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর দলের জনপ্রিয়তা কাজে লাগানো হবে।

বিদায়ী প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের সেনাসমর্থিত সরকারের সঙ্গে গত অক্টোবরে আটটি সশস্ত্র ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে সই হওয়া সংঘাত বিরতি চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে এ শান্তি আলোচনা শুরু হলো। তবে সরকারের পক্ষ থেকে ১৫টি বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও সবচেয়ে শক্তিশালী কয়েকটিসহ সাতটি গোষ্ঠী চুক্তিতে সই করতে অস্বীকার করে।

বিশ্লেষকরা তাই মনে করছেন, এবারের আলোচনায় পুরোপুরি ফলপ্রসূ হবে না। তবে এর মাধ্যমে বিদ্রোহীদের সঙ্গে ভবিষ্যৎ এনএলডি (ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি) সরকারের আলোচনার ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে।

শান্তি আলোচনায় বিদ্রোহী গোষ্ঠী, সেনাবাহিনী ও পার্লামেন্টের কয়েক শ প্রতিনিধি অংশ নিয়েছে।

গত নভেম্বরের ঐতিহাসিক নির্বাচনে ব্যাপক জয় পাওয়া এনএলডি প্রধান ও শান্তিতে নোবেল জয়ী সু চি আশা প্রকাশ করেন, দেশের রাজনীতির মানোন্নয়ন হলে এবং সব গোষ্ঠী একসঙ্গে কাজ করলে ‘শিগগিরই লড়াই-হানাহানি শেষ হবে’। তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা ছাড়া আমাদের পক্ষে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে না।’
গত কয়েক বছর ধরে চলা শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আয়োজিত কোনো আলোচনায় এই প্রথম সু চি নেতৃত্ব দিলেন। তবে গত অক্টোবরে সেইন সরকারের শান্তি প্রচেষ্টার কড়া সমালোচনা করেছিলেন তিনি।

শান্তি আলোচনায় অংশ নিয়েছেন থেইন সেইন ও প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর প্রধান মিন অং লাইং। লাইং তাঁর বক্তব্যে এ শান্তি আলোচনাকে ‘ঐতিহাসিক’ অভিহিত করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এর মাধ্যমে দেশে ‘টেকসই শান্তি, স্থিতাবস্থা ও নিরাপত্তা’ নিশ্চিত হবে।

স্বায়ত্তশাসন ও অধিক অধিকারের জন্য ১৯৪৮ সালে স্বাধীন হিসেবে মিয়ানমারের আত্মপ্রকাশের পর থেকেই লড়াই করছে বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। এতে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে হাজারো মানুষ।

তবে ওই সব সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো আশা করছে, আন্তর্জাতিক পরিচিতি এবং নির্বাচনী বিজয় সু চিকে শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের মতপার্থক্য দূর করতে সহায়তা করবে।

সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী মার্চে মিয়ানমারের শাসনক্ষমতায় বসবে এনএলডি।  সূত্র:বিবিসি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমসুআ

Wordbridge School
Link copied!