• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বনিম্ন বয়স ১৩ বছর


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৬, ০৯:৩৩ পিএম
মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বনিম্ন বয়স ১৩ বছর

সোনালীনিউজ ডেস্ক


১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সর্বনিম্ন বয়স ১৩ বছর ধার্য করা হয়েছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকার) ষষ্ঠ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

রোববার বগুড়া-২ আসনের সংসদ সদস্য শরিফুল ইসলাম জিন্নার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জানান, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক ও কটাক্ষকারীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন।

যশোর-২ আসনের এমপি মনিরুল ইসলামের অপর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মূল সনদ প্রদানের জন্য বর্তমান সরকার আধুনিক পদ্ধতিতে মুক্তিযোদ্ধাদের একক তালিকা প্রকাশের জন্য ডাটাবেজ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এই ডাটাবেজ কর্মসূচিতে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৯টি নিরাপত্তা বারকোডসহ মূল সনদপত্র দেয়া হবে।’

মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ‘মুক্তিযোদ্ধা পল্লী’
অসহায় ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ঢাকার মিরপুরে চিড়িয়াখানা রোডস্থ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এলাকায় জমির উপর ‘মুক্তিযোদ্ধা পল্লী’ নির্মাণ করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে এবং এটি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। লক্ষ্মীপুর-১ আসনের এমপি এমএ আউয়ালের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসনের জন্য আমার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ শীর্ষক’ ২২৭ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্প চলমান। মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণার্থে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পটিতে দেশের সকল উপজেলার মোট ২ হাজার ৯৭১টি ইউনিট নির্মাণের সংস্থান রয়েছে। প্রকল্পে সংস্থানকৃত ২ হাজার ৯৭১টি ইউনিটের মধ্যে এ পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৩৮৮টি ইউনিট নির্মাণের জন্য অনুমোদিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে ১ হাজার ৪৫টি বাসস্থান নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। ১ হাজার ১৫৮টির কাজ চলছে এবং ১৮৫টি বাসস্থান নির্মাণের জন্য দরপত্র বিজ্ঞপ্তি জারির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া প্রতিটি জেলা/উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যানুপাতে তাদের আবাসনের নিমিত্ত ১০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প প্রণয়নের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।’

গাজী ম ম আমজাদ হোসেন মিলনের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এ মন্ত্রণালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট/মুক্তিবার্তা সংরক্ষিত রয়েছে। সংরক্ষিত মুক্তিবার্ত (লালবই) চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১ লক্ষ ৫১ হাজার ৮৬১ জন। এবং গেজেট অনুযায়ী প্রায় ২ লক্ষ। একই মুক্তিযোদ্ধার নাম উভয় তালিকাতেই রয়েছে। তবে সারাদেশে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা নিরুপণের লক্ষ্যে ইতিপূর্বে যারা নাম অন্তর্ভূক্ত করেননি তাদের নাম ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বরাবর অনলাইনে আবেদন করতে বলা হয়েছিল। তবে বর্তমানে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। তবে ইতিমধ্যে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি নিষ্পত্তি হলে সরজমিনে যাচাই-বাছাই পূর্বক অচিরেই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকৃত তালিকা প্রকাশ করা হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!