• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মেয়েদের আবদারে বিব্রত মুস্তাফিজের বাবা


স্পোর্টস ডেস্ক মে ৮, ২০১৬, ১১:৩৪ এএম
মেয়েদের আবদারে বিব্রত মুস্তাফিজের বাবা

বর্তমান সময়ে বিশ্বক্রিকেটে একটি অতিপরিচিত নাম মুস্তাফিজুর রহমান। খুব অল্প সময়ে এমন খ্যাতি পাওয়া ক্রিকেটার খুব বেশি নেই বিশ্বে। আর তাই তার ভক্তেরও কমতি নেই। 

তবে এমন ‘বিস্ময় বালকে’ নিয়ে সম্প্রতি দুঃশ্চিন্তার কথা জানিয়েছেন তার বাবা আবুল কাশেম গাজি।

দুঃশ্চিন্তার কারণ হলো─ভক্ত! মুস্তাফিজের খেলা-পাগল ভক্তরা বিশেষ করে মেয়েরা তাদের বাড়ির ঠিকানায় অসংখ্য চিঠি পাঠান। আর চিঠিতে অাবদার থাকে─মুস্তাফিজের মোবাইল নাম্বার চাই!

ফ্রান্সভিত্তিক বার্তা সংস্থা ‘এএফপি’কে দেয়া মুস্তাফিজ বাবার সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকার ছেপেছে।এতে এই বিষয়টি জানা গেছে।

ক্রিকেটের কল্যাণে তার পুত্র বিশ্ব পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন। এতে মানুষের ভালবাসার সঙ্গে কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি তাকে হতে হচ্ছে বলে এএফপিকে জানিয়েছেন তিনি।
প্রতিদিন অনেক অপরিচিত মানুষ এখন তাদের বাড়িতে যান। সবাই তাদের শুভকামনা করেন। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে অন্যখানে। অনেক মেয়ে নাকি তার কাছে মুস্তাফিজের মোবাইল নম্বর চান! কিন্তু তিনি সেটা দেন না।

এ ব্যাপারে গর্বিত এই বাবা বলেন, ‘প্রতিদিন আমাদের ঠিকানায় অনেক চিঠি আসে। আমি পোস্ট অফিসে গিয়ে বলে এসেছি, তারা যেন আমাদের ঠিকানার কোনো চিঠি বাড়িতে না পাঠায়। মুস্তাফিজ এখন অনেক ছোট। তার এখন খেলায় মনযোগ দেয়ার সময়। এ সব চিঠি পড়লে মনোযোগ নষ্ট হয়ে যাবে।’

তারকা মুস্তাফিজের উত্থান বছরখানেক আগে। আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেকেই নিজেকে মেলে ধরেছেন। বতর্মানে বল হাতে ঝড় তুলছেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল)। তবে আজকের এই তারকা মুস্তাফিজ হয়ে বেড়ে ওঠা তার জন্য খুব একটা সহজ ছিল না। এর জন্য সংগ্রাম করতে হয়েছে অনেক। অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে।

ব্যক্তিগত জীবনে মুস্তাফিজ বেশ ফুরফুরে মেজাজে থাকতেই পছন্দ করেন। মিশতে পারেন সবার সঙ্গেই। কিন্তু নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য শহর থেকে শহরে ঘুরেছেন। ক্রিকেটের কোনো টুর্নামেন্ট হলে খেলার চেষ্টা করেছেন। চার বছর আগেও তার ভাইয়ের সঙ্গে ৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নেটে অনুশীলন করেছেন।

এই মুস্তাফিজকে নিয়ে এক সময় উৎকণ্ঠায় ছিলেন তার বাবাও। তিনি বলেন, ‘ছয় ছেলেমেয়ের মধ্যে সবার ছোট মুস্তাফিজকে নিয়ে একসময় উৎকণ্ঠায় ছিলাম। ইচ্ছা ছিল ছেলেটা লেখাপড়া শিখে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হবে। কিন্তু ওর লেখাপড়ায় মনই ছিল না। সারাক্ষণ ব্যাট আর বল। এটাই ছিল ওর ধ্যানজ্ঞান।’ 

বাবা বলেন, ‘এরপর ধীরে ধীরে ক্রিকেটে মুস্তাফিজ ভালো করতে থাকে। এতে তিনিও একসময় তার ভক্ত হয়ে পড়েন।’ 

আর তাই তার সরল স্বীকারোক্তি─ ‘ছেলে তো এখন আর আমার একার নয়। দেশের জন্য ওকে ভালো খেলতে হবে─এ কামনাই করছি সব সময়।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আমা

Wordbridge School
Link copied!