• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মেয়েদের ক্যানসার ও যৌনরোগ শনাক্ত করার ১০টি মেডিক্যাল টেস্ট


সোনালীনিউজ ডেস্ক মে ১৬, ২০১৬, ১২:৫৭ পিএম
মেয়েদের ক্যানসার ও যৌনরোগ শনাক্ত করার ১০টি মেডিক্যাল টেস্ট

মেয়েদের অত্যন্ত সতর্ক থাকা উচিত কুড়ির পর। মোটামুটি এই সময় থেকেই যৌনতা জীবনে প্রবেশ করে। ৩০ বছর পেরলে নির্দিষ্ট সময়ে অবশ্যই এই পরীক্ষাগুলি করা প্রয়োজন। নীচে যে পরীক্ষাগুলির কথা বলা হল তার বেশ কয়েকটি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই করা যায় কিন্তু সেক্ষেত্রে ঝুকি থেকে যায়। তাই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে করাই ভাল।

১) মেয়েদের মধ্যে সবচেয়ে কমন হল ব্রেস্ট ক্যানসার। স্তনে কোনও লাম্প থাকলে, টিপলে ব্যথা লাগলে, স্তনের বোঁটা থেকে অস্বাভাবিক ডিসচার্জ হলে বা ব্রেস্ট পেন হলে তা ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। ব্রেস্ট ক্যানসার আছে কি না জানতে তাই ম্যামোগ্রাফি করা উচিত। এই পরীক্ষার মাধ্যমে অনেক আর্লি স্টেজ ব্রেস্ট ক্যানসার ধরা পড়ে। কোনও লক্ষণ না থাকলেও ৪০ বছরের বেশি বয়সের মেয়েদের প্রতি বছর এই টেস্ট করা উচিত।

২) এইচআইভি এবং সিফিলিস হল আরও দুইটি যৌনরোগ যা ধরা পড়ে ব্লাড টেস্টে। কোনও মহিলার যদি অনেক পুরুষসঙ্গী থাকে তবে তাঁর এই টেস্ট অবশ্যই করা উচিত। প্রোটেকশন নিয়েও এই রোগগুলির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় না।

৩) যে সব মহিলারা স্মোকিং করেন তাঁদের অবশ্যই স্পাইরাল সিটি করা উচিত লাং ক্যানসার আছে কি না তা বোঝার জন্য। প্রতি বছরই একবার করে নেওয়া ভাল।

৪) কোলন ক্যানসার শুধু মহিলারা নয়, পুরুষদেরও হতে পারে। এর জন্য কোলনোস্কোপি করতে হয়। যদি মলত্যাগ করার সময় যন্ত্রণা হয় বা মলের সঙ্গে রক্ত পড়ে তবে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে এই পরীক্ষাটি করে নেওয়াই ভাল।

৫) যোনি থেকে অস্বাভাবিক ব্লিডিং, মেনোপজের পরেও ব্লিডিং হওয়া, যৌনতার সময় পেলভিসে ব্যথা হলে বা ইউরিন করার সময় ব্যথা হলে তা ইউটেরাইন বা এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসার হতে পারে। এই ক্যানসার আছে কি না তা জানা যায় আলট্রাসাউন্ড অথবা বায়োপসির মাধ্যমে। এমন কোনও লক্ষণ দেখলে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

৬) ওভারিয়ান ক্যানসার মেয়েদের অন্যতম কমন ক্যানসার এবং দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা গর্ভনিরোধক পিল খান তাঁদের এই ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। কখনও আলট্রাসাউন্ড মারফত ধরা পড়ে আবার কখনও সিটি স্ক্যান, এমআরআই অথবা কম্পিউটেড টমোগ্রাফি করলে ধরা পড়ে এই ক্যানসার।

৭) ব্রেস্ট এবং ওভারিয়ান ক্যানসার হতে পারে কি না তা মুখের স্যালাইভা স্যাম্পল পরীক্ষা করেও জানা যায়। এই পরীক্ষাটিকে বলে বিআরসিএ জিন মিউটেশন টেস্ট। BRCA1 ও BRCA2 ব্যাকটেরিয়াগুলি থাকলে তা ব্রেস্ট ও ওভারিয়ান ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়ায়।

৮) সার্ভিক্যাল ক্যানসার সনাক্ত করার জন্য রয়েছে প্যাপস্মিয়ার টেস্ট। সার্ভিক্স হল ইউটেরাসের তলার অংশ। যোনির অনেকটা ভিতরে আঙুল প্রবেশ করালে সার্ভিক্সের মুখটি স্পর্শ করা যায়। ওইখান থেকেই সংগ্রহ করা হয় রস। হিউম্যানপ্যাপিলোমাভাইরাস বা এইচপিভি হল সার্ভিক্যাল ক্যানসারের কারণ। এই ভাইরাসটি যৌন সংসর্গ থেকেই মেয়েদের শরীরে প্রবেশ করে।

৯) এইচপিভি শরীরে আছে কি না তা অন্য আর একটি মেডিক্যাল টেস্ট থেকেও জানা যায় তা হল এইচপিভি ডিএনএ টেস্ট। এই টেস্টে অনেক ভালভাবে ধরা পড়ে সার্ভিক্যাল ক্যানসার। যদি প্যাপস্মিয়ার বা ডিএনএ টেস্ট পজিটিভ হয় তবে পরবর্তী পদক্ষেপ হল কল্পস্কোপি। যাঁরা ওরাল সেক্স করেন সেই সব মহিলাদের মুখের ভিতরে এইচপিভি ভাইরাস সংক্রমণ হয়ে হেড অ্যান্ড নেক ক্যানসার হতে পারে। এইচপিভি ডিএনএ টেস্টে তা ধরা পড়ে।

১০) এসটিডি বা সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ অনেক রকম হয়। ক্ল্যামিডিয়া এবং গনোরিয়া আছে কি না তা পরীক্ষা করা হয় উইরিন টেস্ট থেকে। অবাধ যৌন সংসর্গ করলে তবেই গনোরিয়া হওয়া সম্ভব অথবা এমন কোনও পুরুষসঙ্গী যার গনোরিয়া আগে থেকেই রয়েছে তার সঙ্গে একবার যৌনমিলনেই এই রোগ হতে পারে। কিন্তু ক্ল্যামিডিয়া খুবই কমন একটি রোগ।

সোনালীনিউজ/এন

Wordbridge School
Link copied!