• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রাখাইনে ‘জাতিগত নিধন’ হয়েছে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮, ১২:২৯ পিএম
রাখাইনে ‘জাতিগত নিধন’ হয়েছে

ঢাকা : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধন চালানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। মিয়ানমার সফর শেষে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাজ্যের আইটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

বরিস বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই যে, রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে জাতিগত নিধন চালানো হয়েছে। সেখানকার ব্যাপক ধ্বংসলীলা দেখলেই বিষয়টি বোঝা যায়।’ নিধনযজ্ঞে সেনাবাহিনী সরাসরি জড়িত- এতে কোনো সন্দেহ নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমরা এখন চাই, শরণার্থীদের যেন নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন করা হয়।’ ব্যাপক নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গারা স্বাভাবিকভাবেই রাখাইনে প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে ভীত। তাদের পূর্ণ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েই প্রত্যাবাসন করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

রোববারই নেইপিডোতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বরিস। সু চিকে তিনি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বানন জানান। বরিস বলেন, ‘আমি সু চিকে রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে আহ্বানন জানিয়েছি। তিনি অবশ্যই দেশটির বেসামরিক সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নেতা।’

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে সু চিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটা সহজ নয়; তবে জাতিগত নিধনের এ ধরনের ঘটনা আর ঘটতে দেওয়া উচিত নয়। এটা সত্যিই অসহনীয়।’

চার দিনের এই সফরে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রথমে বাংলাদেশ সফর করেন। এখানে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরপর মিয়ানমার সফরে যান। সেখানে রাখাইনের কিছু এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি।

গত বছরের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গাদের ওপর নতুন করে নির্যাতন শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের বিতারণ করে সেনারা। জাতিসংঘ এটিকে জাতিগত নিধন অভিযান হিসেবে বর্ণনা করেছে।

বর্বর অত্যাচারে বাধ্য হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। সম্প্রতি তাদের প্রত্যাবাসনে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!