• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
জাতিসংঘকে যুক্তরাষ্ট্র

‘রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে হস্তক্ষেপ জরুরি’


ডেস্ক রিপোর্ট মে ১৬, ২০১৮, ০৬:৩৪ পিএম
‘রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে হস্তক্ষেপ জরুরি’

ঢাকা : রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে দ্রুত ব্যবস্থা ও প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থাটিতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী দূত নিকি হ্যালে। স্থানীয় সময় গত সোমবার নিউইয়র্কে সংস্থাটির সদর দফতরে নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি।

বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈঠকে মিয়ানমার থেকে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে জোরপূর্বক তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন হ্যালে। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধানে নিরাপত্তা পরিষদের সরাসরি হস্তক্ষেপ জরুরি। এই সঙ্কট সমাধানে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য করার মতো হাতিয়ার আমাদের আছে এবং আমাদের অবশ্যই মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এটা প্রয়োগ করতে হবে।’

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রস্তাব (রেজ্যুলেশন) গ্রহণেও নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান জানান তিনি। হ্যালে আরো বলেন, ‘কিছু সদস্য রাষ্ট্র নিজস্ব স্বার্থের কারণে এ ব্যাপারে (রোহিঙ্গা সঙ্কট) ব্যবস্থা নিতে পরিষদকে বিরত রাখছে।’ রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারকে চাপ দিতে চীনের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি। বৈঠকে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সরকার জাতিগত নিধন চালিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন কুয়েতের স্থায়ী দূত মনসুর আল-ওতাইবি।

গত এপ্রিলে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফরে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিদল বিষয়টির প্রমাণ পেয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এ সময় জাতিসংঘে যুক্তরাজ্যের স্থায়ী দূত ক্যারেন পিয়ের্স প্রতিনিধিদলের সফরে তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। এই সফরকে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর বলে উলে­খ করেন।

এ সঙ্কট সমাধানে জাতিসংঘকে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত হতে হবে বলে উল্লে­খ করেন তিনি। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার ধীরগতি ও মিয়ানমারের অপর্যাপ্ত কার্যক্রমের বিষয়টি উল্লেখ করে এতে জাতিসংঘকে ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান। রোহিঙ্গারা ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন পিয়ের্স।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফর করেন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল। এ সময় প্রতিনিধিদলটি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন ও শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলে। মিয়ানমার সফরে নির্যাতনস্থল রাখাইন রাজ্য পরিদর্শন ও দেশটির সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে। এ বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের বাইরে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের স্থায়ী প্রতিনিধি।

বাংলাদেশের প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে বিশ্বাসের ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’ তিনি এ সময় প্রধানমন্ত্রীর চারটি প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন। এগুলো হল- নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে ধারাবাহিক ও নিষ্পত্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ, নিরাপত্তা পরিষদের গৃহীত প্রেসিডেন্সিয়াল স্টেটমেন্টের আলোকে রেজুলেশন প্রণয়ন, রাখাইন অ্যাডভাইজরি কমিশনের সুপারিশমালার নিঃশর্ত বাস্তবায়ন, জবাবদিহিতা ও সুবিচার নিশ্চিতকরণ।

মিয়ানমারের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা বিচার চেয়ে দেশটির আদালতে মামলা করতে পারবে। তার এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মোমেন বলেন, ‘নাগরিকত্বের বিষয়টি নিষ্পত্তি না হলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী কীভাবে মিয়ানমারের আদালতে আইনি লড়াই করবে?’

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!