• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘শাকিব বাদে অন্য নায়কদের গ্যারান্টি নেই’


এন ডি আকাশ জুলাই ১৪, ২০১৮, ১২:২৪ পিএম
‘শাকিব বাদে অন্য নায়কদের গ্যারান্টি নেই’

পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবর-শাকিব খান

ঢাকা: ‘আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে শিল্পী সংকট বিরাজ করছে। যারা আছে তাদেরকে দিয়ে ছবি বানালে হলে খুব একটা চলে না। মানুষ তাদের ছবি দেখতে আসে না। এক্ষেত্রে শাকিব খান ব্যতিক্রম, একমাত্র তার ছবি ভালো চলে। শাকিব খান ছাড়া বাপ্পী, সাইমন, আরিফিন শুভ যারাই আছে তাদের ছবি খুব কম চলে।

শাকিবকে বাদে যারা অন্য নায়কদের নিয়ে টুকটাক ছবি বানাচ্ছেন এসব ছবিও যে চলবে তার কোনো গ্যারান্টি নেই। এভাবে একটা ইন্ডাস্ট্রি চলতে পারে না।’ সিনেমা প্রসঙ্গে কথাগুলো বলেছেন বর্ষিয়ান পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবর। 

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি নির্মাণ করেছেন অর্ধ শতাধিক সিনেমা। নাম লিখিয়েছেন প্রযোজনাতেও। তার হাতে যেসব ছবির সৃষ্টি হয়েছে বেশিরভাগই ব্যবসা সফল। এই পরিচালকের হাত উঠে এসেছেন পপি সহ বেশ কয়েকজন অভিনেতা।

বর্ষিয়ান এই চিত্রপরিচালকের নির্দেশিত ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’ ছবিটি গেল বছর মুক্তি পেয়েছে। হাতে রয়েছে ‘সরি’ নামের আরেক ছবি। গেল বছর অক্টোবরে শাহরিয়াজ এবং শিরিন শিলাকে নিয়ে শুরু করেছিলেন শুটিং। এরপর থেমে যায়। কিন্তু এই ছবিটি আদৌ শুটিং শেষ হবে কিনা সেটি জানেন না এই নির্মাতা।

মনতাজুর রহমান বলেন, ‘সরি’ ছবির যিনি প্রডিউসার তার কোনো আগামাথা নেই। খোঁজই পাইনা। এই ছবি হবে কিনা জানি না। যিনি টাকা ঢালবেন তিনি যদি গড়িমসি করেন তাহলে হবে কীভাবে? মনে হয় এই সিনেমা আর হবে না। কিছু সিনেমা টুকটাক হবে। 

আসল কারণ, প্রডিউসার (প্রযোজক) নেই বলেই সিনেমা হচ্ছে না। তিনি বলেন, সিনেমা আর নাটক কিন্তু এক না। নাটক বানাতে দুই-আড়াই লাখ টাকা হলে চলে যায়। একটা লোক সহজেই পটিয়ে বিনিয়োগের জন্য আনা যায়। কিন্তু সিনেমা বানাতে কোটি টাকা লাগে। এতগুলো টাকা যিনি লগ্নী করবেন, তিনি তো বুঝেশুনেই করবেন!

টাকার পাহাড়, বশিরা, কুলি, শান্ত কেন মাস্তান, গুণ্ডা নম্বর ওয়ান, বস্তির রানী সুরিয়া, আরমান, কঠিন সীমার, মেজর সাহেব, জীবনের গ্যারান্টি নাই, টপ সম্রাট’র মতো হিট ছবির এই নির্মাতা আরও বলেন, সিনেমায় যারা আছে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। কারণ সিনেমা আর হবে না! আমি আমার দৃষ্টিকোণ থেকে এটাই দেখতে পাচ্ছি।

প্রডিউসারদের সংখ্যা এখন জিরো থেকে মাইনাস জিরোতে চলে এসেছে। আগে যেখানে শিল্পপতি, বড় বড় চাকরিজীবীরা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকতেন। এখন তারা সরে গেছেন। তাছাড়া পেশাদার প্রডিউসার যারা ছিলেন সেখান থেকে তারাও এখন সরে গেছেন। এসব অবস্থা দূর করতে হলে সবার আগে বিনিয়োগকারী (প্রডিউসার) এগিয়ে আসতে হবে। সরকারী সহায়তা লাগবে। পর্যাপ্ত শিল্পী থাকতে হবে। তারপর যদি অদূর ভবিষ্যতে সিনেমার উন্নতি হয়।


সোনালীনিউজ/বিএইচ

Wordbridge School
Link copied!