সপ্তাহে সূচক বাড়লেও লেনদেনে ধ্বস

সোনালীনিউজ ডেস্ক

দেশের শেয়ারবাজারে টানা তিন সপ্তাহ দরপতনের পর সূচক ও বাজার মূলধনের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে কমেছে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ। একই সঙ্গে অবনতি হয়েছে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের দর।

সপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স  সপ্তাহে শেষে বেড়েছে  ১০ দশমিক ২৩ পয়েন্ট বা দশমিক ২২ শতাংশ, ডিএস৩০ সূচক বেড়েছে  ১৬ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৭ শতাংশ। আর শরীয়াহ সূচক বা ডিএসইএস বেড়েছে  ১০ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৪ শতাংশ।

গেল সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮৬৩ কোটি ৫৫ লাখ ২ হাজার ২৯২ টাকার। যা এর আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৯৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বা ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৫৭ কোটি ৯ লাখ ১০ হাজার ৮৭২ টাকার। গত সপ্তাহে ডিএসইতে গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয়েছে ৩৭২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। যা তার আগের সপ্তাহে ছিল ৪১১ কোটি ৪১ লাখ টাকার।

গেল সপ্তাহে হ্রাস পেয়েছে লেনদেন হওয়া বেশিভাগ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর। ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৯৪টির, কমেছে ২২১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির। আর লেনদেন হয়নি ৩টি কোম্পানির শেয়ার।

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১৭ হাজার ৩৯৪ কোটি ১৩ লাখ ৫৬ হাজার টাকায়। আর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দশমিক ২৭ শতাংশ বেড়ে ১৫ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

অন্যদিকে দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহে সিএএসপিআই সূচক বেড়েছে দশমিক ৪৯ শতাংশ। সিএসই৩০ সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৬১ শতাংশ। আর সার্বিক সূচক সিএসইএক্স বেড়েছে দশমিক ৪৭ শতাংশ।

সপ্তাহে সিএসইতে গড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ২৭৯ টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১০ টির, কমেছে ১৪৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির। টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১২৩ কোটি ১৪ লাখ ৫২ হাজার টাকার। যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২২ কোটি টাকা কম। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৪৫ কোটি ৫১ লাখ টাকার।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন