• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সাকিবদের যাওয়া-আসার মিছিল থামবে কবে?


ক্রীড়া প্রতিবেদক জুলাই ১৪, ২০১৮, ১১:০৮ এএম
সাকিবদের যাওয়া-আসার মিছিল থামবে কবে?

ফাইল ছবি

ঢাকা: অ্যান্টিগা টেস্টে বড় লজ্জা পোহাতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বনিম্ন ৪৩ রানে অলআউট হতে হয়েছে সাকিব আল হাসানদের। বিশ্বকাপ উন্মাদনায় এই ঘটনা অনেকটা আড়ালই রয়ে গেছে। অন্য সময় হলে ফলাও করে সংবাদমাধ্যমে আসত।

জ্যামাইকায় দ্বিতীয় টেস্টে আশা করা হয়েছিল, নিজেদের ভুলত্রুটি শুধরে ঘুরে দাঁড়াবেন সাকিবরা, কিন্তু হলো উল্টোটাই। অন্তত প্রথম ইনিংসে ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স তাই বলবে। উইকেটে তারা শুধু গিয়েছেন আর ফিরে এসেছেন। উইকেটে থাকার যে প্রানান্তকর চেষ্টা এক তামিম ইকবাল ছাড়া আর কেউ দেখাতে পারলেন না। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার এত বছর পরও যদি ব্যাটসম্যানরা উইকেটে যাওয়া-আসার মিছিল করেন তাহলে কী হলো?

নয় নয় করে বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ১৮ বছর চলছে। তারপরও একটা পূর্ণাঙ্গ টেস্ট দল যেভাবে খেলে উইন্ডিজে সাকিবদের মাঝে সেটি অনুপস্থিত। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৬.১ ওভারে বাংলাদেশ সাকুল্যে তুলতে পেরেছে ১৪৯ রান। ওয়ানডে খেলা হয় ৫০ ওভারের। সেটাও পারলেন না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। কেন পারলেন না এই প্রশ্নের উত্তর কে দেবেন?

এমন পারফরম্যান্স যদি নবীণ আফগানিস্তান করত সেটা ঠিক ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্স আর মানায় না। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই দলে হাতে গোনা দু-একজন ছাড়া অভিজ্ঞতায়ও বাংলাদেশ এগিয়ে। তাহলে সমস্যা কোথায়? এই প্রশ্ন এখন উঠতেই পারে।

বোলিংয়ে দিনের শুরুটা ভালোই হয়েছিল বাংলাদেশের। আগের দিন ৩ উইকেট পাওয়া মিরাজ এদিন আরও ২ উইকেট নিয়ে ৫ উইকেট নিলেন। এখনও অবধি জ্যামাইকা টেস্টের প্রাপ্তি বলতে এতটুকই। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩৫৪ রানে অলআউট করার পর ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ।

আগের টেস্টে যে হতশ্রি পারফরম্যান্স ব্যাটসম্যানরা এবারও সেটিই ধরে রাখলেন। কোনওমতে স্কোর ১০০ ছাড়িয়েছে। সেটাও বোধহয় হতো না যদি তামিম দাঁড়িয়ে না যেতেন। ১০৫ বলে তামিমের ৪৭ আর ৫৩ বলে সাকিবের ৩২ রান না হলে ১৪৯ হতো কি না সন্দেহ।

দলীয় ২০ রানের মাথায় ওপেনার লিটন দাশকে হারায় বাংলাদেশ। লিটন ১২ রান করেই ফিরে যান। বাংলাদেশের টেস্ট স্পেশালিস্ট মুমিনুল হক ২ বল খেলেন। তবে কোনো রান না করেই আউট হন। সাকিব ক্রিজে এসে নির্ভার হয়ে খেলার চেষ্টা করেন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। সাকিব আউট হলে মাহমুদউল্লাহও মুমিনুলের মতো ২ বল খেলে ০ রানে আউট হন।

মাহমুদউল্লাহর পর তামিম ইকবালও আউট হন। মুশফিক খানিকটা ধরে খেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনিও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে ২৪ রানে আউট হন। মুশফিকের আগে নুরুল হাসান নেমেই আউট হয়ে ফেরেন। দলীয় ১২৮ রানের মাথায় মুশফিক আউট হলে টেলএন্ডাররা কিছু করতে পারেননি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেসন হোল্ডার ৫ উইকেট তুলে নেন। ২টি করে উইকেট নেন গ্যাব্রিয়েল ও পল। ২০৫ রানে এগিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৯ রানে এক উইকেট হারিয়ে ২২৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্রেথওয়েটের উইকেটটি নিয়েছেন সাকিব।


সোনালীনিউজ/আরআইবি/আকন

Wordbridge School
Link copied!