• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সেই অসুস্থ মায়ের দায়িত্ব নিতে চান জেলা প্রশাসক


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ১১, ২০১৮, ০৫:২২ পিএম
সেই অসুস্থ মায়ের দায়িত্ব নিতে চান জেলা প্রশাসক

ঢাকা : জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাস্তায় পড়ে আছেন একজন নারী। মাথায় পানি ঢালছেন ছোট্ট এক শিশু। ওই শিশুটি তার সন্তান। সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ পায়। ভিডিওটি প্রকাশের পর রাতারাতি সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

রাজধানীর কলাবাগানে ফুটওভার ব্রিজের নিচে থাকা সেই অসুস্থ মায়ের কথা জানতে পারেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোসাম্মৎ সুলতানা পারভীনও। আর এরপরই তিনি সেই অসুস্থ মায়ের দায়িত্ব নেয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। তিনি মানবিক দায়বদ্ধতা থেকে ওই পরিবারের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতেও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোসাম্মৎ সুলতানা পারভীন বলেন, কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক হিসেবে নিজের দায়বদ্ধতা থেকে ওই পরিবারকে পুনর্বাসন করবেন তিনি। যাতে ওই পরিবার সচ্ছলভাবে চলতে পারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সে ব্যবস্থাও করা হবে।

এর আগে গত শুক্রবার (৬ জুলাই) সোবহানবাগ মসজিদের কাছে প্রচণ্ড জ্বর আর শরীর ব্যথা নিয়ে ফুটপাতে পড়ে থাকতে দেখা যায় এক অসুস্থ মাকে। এ সময় কেউই তার সেবায় এগিয়ে না আসলেও তার দুই অবুঝ শিশু মাকে বাঁচাতে প্রাণান্তকর চেষ্টা করে। শনিবার সারা দিনও রাস্তায় পড়েছিলেন ফরিদা। এরপর আবারো তার চিকিৎসায় এগিয়ে আসেন পারভেজ।

জানা গেছে, সেই নারীর নাম ফরিদা বেগম। বাড়ি কুড়িগ্রামে। স্বামীর নাম আনসার আলী। এক ছেলে ও এক মেয়ে তাদের। ছেলের নাম ফরিদুল আর মেয়ের নাম আকলিমা। আকলিমাই জ্বরের মুখে তার মাথায় পানি ঢালে। নদীতে ঘর-বাড়ি বিলীন হয়ে যাওয়ার কারণে দুই বছর আগে ঢাকায় আসে তারা, থাকেন ফুটপাতেই।

শুক্রবার (৬ জুলাই) যখন ওই নারী রাস্তায় পড়েছিল, ওষুধ আর খাবার কিনে দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন পারভেজ হাসান। এরপর রবিবার (৮ জুলাই) আরও কয়েকজনের সহযোগিতা নিয়ে ফরিদা বেগমকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেন পারভেজ।

চিকিৎসা নিয়ে ফরিদা বেগম এখন কিছুটা সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন পারভেজ হাসান। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর চিকিৎসকরা বলেছেন, তিনি এখন আগের থেকে অনেক সুস্থ।’

অসুস্থ ফরিদার জন্য শাড়ি এবং তার দুই সন্তানকে নতুন জামাও কিনে দেন পারভেজ হাসান। তিনি বলেন, ‘এখন তারা ফুটপাতেই আছেন। তাদের একটা থাকার জায়গা দরকার।’

এসময় তিনি ফরিদার পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য বৃত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান। তবে ফরিদা বেগম কুঁড়িগ্রামে ফিরে যেতে চান বলেও জানান পারভেজ।

তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কুঁড়িগ্রামের কেউ যদি সহযোগিতা করে তাহলে সেখানে তাদের পুনর্বাসন করা যেতে পারে। এতে করে পরিবারটি খুবই উপকৃত হবে।’ এরপরই তার দায়িত্ব নিতে এগিয়ে আসেন জেলা প্রশাসক মোসাম্মৎ সুলতানা পারভীন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!