• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সে আমাকে শুধুই বন্ধু ভাবে


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ১, ২০১৬, ০৯:৫৯ এএম
সে আমাকে শুধুই বন্ধু ভাবে

সোনালীনিউজ ডেস্ক:

অনেকেরই এই অভিযোগটা রয়েছে- ‘ভালোলাগা থেকে কাছে গিয়েছিলাম। অনেকটা লাইও পেয়েছিলাম। কিন্তু প্রস্তাব দিতেই বলে কিনা, আমাকে কখনো ও চোখে দেখেনি! আমি নাকি বন্ধু হিসেবেই ভালো।’ যারা এ ধরনের সমস্যায় পড়েন তাদের জন্য চিন্তা করেছেন মনোবিদরাও। তারা বলছেন, আসলে এ ধরনের সমস্যা যাদের ক্ষেত্রে ঘটে তাদের প্রবলেমটা আসলে ইমেজেই। কারণ তাদের ‘সুবোধ বালক’ইমেজটাই নাকি প্রেমের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। আর এই ইমেজটার জন্যই তাদের সারাটা ‘বসন্তকাল’ ভালো বন্ধু তকমা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। 

এর বেশ কিছু কারণ বিশ্লেষণ করেছেন মনোবিদরা। মিলিয়ে নিতে পারেন নিজের সঙ্গে। কী কী  দেখে নিন কী সেই কারণগুলি:

১) ডাকলেই পাওয়া যায়: বান্ধবি শপিংয়ে যাবে, আপনাকে ফোন। সিনেমা দেখার সঙ্গী দরকার, আপনাকে ফোন। ফোনের ব্যালান্স শেষ, আপনার খোঁজ পড়ছে। কোনো অচেনা জায়গায় পরীক্ষা রয়েছে, আপনি নিয়ে যাচ্ছেন। এত সঙ্গ দিলে মেয়েরা 'টেকেন ফর গ্রান্টেড' নিয়ে নেবেন, সেটাই স্বাভাবিক। আপনার প্রেমিক হওয়া হচ্ছে না।

২) সখাও আপনি, সখীও: বিশেষ বান্ধবীর ভরসা হওয়া এক ব্যাপার, তার সখা কাম সখী হওয়া আর এক ব্যাপার। তার জীবনের ছোট থেকে ছোট ব্যাপারও আপনি মন দিয়ে শোনেন। বেড়াল ছানার জ্বর হয়েছে বলে প্যানপ্যানানি কান্নার সঙ্গীও আপনাকেই হতে হয়। জাস্ট চলবে না। চিরকাল বন্ধু তকমা বয়ে বেড়াতে হবে।

৩) ইমপ্রেস করতে মরিয়া: আপনি তাকে ইমপ্রেস করতে এতটাই মরিয়া যে তার সব কথায় আপনি হ্যাঁ বলেন। আপনার নিজস্ব কোনও মতামত নেই। আপনার জীবনই আবর্তিত হয় সেই বান্ধবীকে ঘিরে। প্রথমেই মনে রাখুন, মেয়েরা মেরুদণ্ডহীন ছেলেদের পছন্দ করেন না। আপনার নিজস্ব সত্ত্বা না থাকলে আপনি বয়ফ্রেন্ড স্ট্যাটাস পাবেন না কোনও দিন।

৪) যা খুশি করুক, আমি খুশি: এ মনোভাব থাকলে মুশকিল। যে কোনও কাজ, তা যতই নীতিগতভাবে আপনি সমর্থন না করুন, যদি সেই বিশেষ বান্ধবী করেন, তবে আপনি কোনও কথা বলতে পারেন না। এ রকম হলে আপনার থেকে খালি সুবিধা নেওয়ারই চেষ্টা করবেন তিনি। এটাই স্বাভাবিক মনুষ্য প্রবৃত্তি।

৫) মনের গোপন কথা, রবে গোপনে: নিজের মনের কথা যদি স্পষ্ট করে না বলতে পারেন, তবে আপনার প্রেমের ভবিষ্যত্‍ খুব উজ্জ্বল নয়। মেয়েরা কাপুরুষদের একটু এড়িয়ে চলতে চান। সঠিক সময়ে সঠিক কথা বলা ভীষণ জরুরি।

৬) অযাচিত উপদেশ দেয়া: অভ্যাস থাকলে বন্ধ করুন। আপনি তার মা নন, বন্ধু। ভালো-মন্দ নিয়ে কথা বলবেন ঠিকই, কিন্তু মায়ের মতো বেশি উপদেশ দেবেন না। এগুলো লেকচার ভেবে আপনাকে স্রেফ উড়িয়ে দেবেন তিনি।

৭) বোরিং হবেন না: এটা সব থেকে জরুরি। আপনি যদি তার নিত্যদিনের জীবনের থেকে তাকে আলাদা কিছু অনুভব করাতে না পারেন, তবে বাকিদের সঙ্গে আপনার কোনও পার্থক্য তিনি অুধাবন করতে পারবেন না। আপনি নাইস হোন, তবে বোরিং হবেন না। প্রত্যেকেই নিজের একঘেরে জীবনের থেকে একটু আলাদা কিছু চান নিজের পছন্দের মানুষের কাছে থেকে। একটু থ্রিল, একটু অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় হওয়া ভালো। এটা একটা সম্পর্ককে নতুন উদ্যম দেয়।

Wordbridge School
Link copied!