• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

হ্যারি কেনের আলো নিভিয়ে স্বপ্নের ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া


ক্রীড়া ডেস্ক জুলাই ১২, ২০১৮, ০২:৪৩ এএম
হ্যারি কেনের আলো নিভিয়ে স্বপ্নের ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া

ঢাকা: রাশিয়া বিশ্বকাপের শুরু থেকেই দারুন জ্বলছিল হ্যারি কেনের আলো। সেই আলোয় অনেকটা পথ মারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। স্বপ্ন দেখছিল আরও একটি বিশ্বকাপ জয়ের, কিন্তু সেমিফাইনালে আর জ্বললো না সেই আলো। তাই ইংলিশদের অন্ধকারে ডুবিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে নাম লেখাল ক্রোয়েশিয়া। ফলে স্বপ্ন পুরণের একেবারে নিকটে চলে এল ক্রোয়েটরা। 

বুধবার মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে রাশয়িা বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে গেল ক্রোয়েশিয়া। এরআগে বিশ্বকাপে দলটির সর্বোচ্চ সাফল্য ছিল তৃতীয় স্থান। ১৯৯৮ ফ্রান্স বিশ্বকাপে তৃতীয় হয় ক্রোয়াটরা। তা ছাপিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠে গেল তারা। আগামী ১৫ জুলাই মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে শিরোপার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ ১৯৯৮ চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স।

এদিন দারুন শুরু করে ইংল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের ৫ মিনিটের সময় ক্রোয়েশিয়ার ডি-বক্সের খুব কাছ থেকে ফে-কিকের সুযোগ পায় ইংল্যান্ড। আর সেই ফ্রি-কিক থেকে গোল করেন ইংল্যান্ডের কিয়েরান ট্রিপ্পিয়ার।  

গিয়ে গিয়ে দারুণ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে ইংল্যান্ড। মুহর্মুহু আক্রমণে ক্রোয়েশিয়াকে ব্যতিব্যস্ত রাখে তারা। একাধিক গোলও পেতে পারতো। তবে ১৪ ও ৩৬ মিনিটে দুটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন হ্যারি ম্যাগুইরে ও জেসি লিঙ্গার্ড।

মাঝে পাল্টা আক্রমণে সুযোগ সৃষ্টি করেছিল ক্রোয়েশিয়াও। তবে তারা স্বার্থ হাসিল করতে পারেনি। ১৯ ও ২৩ মিনিটে নাগালে পাওয়া সুযোগ হাতছাড়া করেন ইভান পেরেসিচ। আর ৪৩ মিনিটে মিস করেন সিমে ভ্রাসালকো। ফলে ১-০ গোলে পিছিয়ে বিরতিতে যায় ক্রোয়েশিয়া।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠে  ক্রোয়েটরা। কিন্তু আক্রমণের পর আক্রমণ রচনা করেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না মডরিচ-রাকিতিচরা। অবশেষে ৬৮ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে ক্রোয়েশিয়াকে সমতায় ফেরান ইভান পেরেসিচ। সিমে ভ্রাসালকোর অসাধারণ থ্রু পাস থেকে নিশানাভেদ করেন এই ক্রোয়েশিয়ান।

এরপর আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ করেও গোল পায়নি কোনও দলই। ফলে নির্ধারিত সময়েও ম্যাচের নিষ্পত্তি না হলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তাতেও গোল পাচ্ছিল না কোনও পক্ষই। শেষ পর্যন্ত ১০৯ মিনিটে মারিও মান্দজুকিচ হাঁসি ফোটান ক্রোয়েটদের মুখে। ইভান রাকিতিচের হেড থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে লক্ষভেদ করেন মান্দজুকিচ। আর তাতেই নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে উঠে গেল ক্রোয়েশিয়া।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!