• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

১০ শরণার্থীর বদলে ২ কোটি টাকা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক মে ৩১, ২০১৬, ১০:৪০ পিএম
১০ শরণার্থীর বদলে ২ কোটি টাকা

মাত্র ১০ জন শরণার্থী নেওয়ার বদলে ২ কোটির বেশি টাকা দিল সুইজারল্যান্ডের একটি সমৃদ্ধ গ্রামের বাসিন্দারা। এ টাকা দিয়ে শরণার্থীদের সাহায্য করা হবে।

ইউরোপের দেশগুলো কোটা ব্যবস্থার মাধ্যমে শরণার্থীদের দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়া শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে সুইজারল্যান্ড সরকার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শরণার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।

গ্রামের নাম ওবেরউইল-লেইলি। শুধু সুইজারল্যান্ড নয়, ইউরোপের শীর্ষ ধনী গ্রামের মধ্যে এটি একটি। এ গ্রামে ৩০০ জনের বেশি বিলিয়নিয়ার বসবাস করেন। গ্রামের মোট জনসংখ্যা ২ হাজার ২০০ জন। শরণার্থীদের থাকার বিষয়ে গ্রামের বাসিন্দের নিয়ে গণভোট হয়। ভোট ‘না’ রায় দিয়েছেন তারা।

সরকারের নীতি অনুযায়ী, যে গ্রাম বা শহর শরণার্থীদের গ্রহণ করবে না, তাদের বাধ্যতামূলক জরিমানা দিতে হবে। সেমতে, গ্রামের বাসিন্দরা শরণার্থী নেওয়ার পরিবর্তে টাকা দিতে রাজি হয়। বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ।

তবে গ্রামের বাসিন্দাদের এ সিদ্ধান্তকে মানতে পারেনি কিছু লোক। ওই গ্রামের লোকদের ‘জাতিবাদী’ হিসেবে অনেকে নিন্দা করেছে।

ওই গ্রামের মেয়র আন্দ্রেয়াস গ্লারনার মনে করেন, শরণার্থীদের গ্রহণ না করায় তারা জাতিবাদী হয়ে যায়নি। তিনি বলেন, ‘আমাদের বলা হয়নি, এই ১০ শরণার্থী সিরিয়ার না কি তারা অন্য দেশ থেকে অর্থনৈতিক অভিবাসন নিতে এসেছে। সিরিয়ার শরণার্থীদের অবশ্যই সাহায্য করা হবে। তাদের বাড়ির পাশের আশ্রয়শিবিরে তারা আরো ভালো সাহায্য পাবে।

তিনি আরো বলেন, শরণার্থীদের সাহায্যে অর্থ পাঠানো হবে। কিন্তু তাদের এখানে থাকার ব্যবস্থা করে দিলে, জনগণের মধ্যে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়বে। অন্যরা চলে আসতে চাইবে। সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে তাদের জীবন ঝুঁকিতে পড়বে এবং মানবপাচারকারীদের কাছে নিজেদের বিক্রি করে দিতে চাইবে। তা ছাড়া ভাষা নিয়েও সমস্যা পড়তে হবে। শরণার্থীদের বাচ্চাদের নিয়ে স্থানীয় স্কুলগুলো ঝামেলায় পড়বে।

সুইজারল্যান্ড ৫০ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে গ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছে। সেদেশের ২৬টি কাউন্টিতে কোটা অনুযায়ী তাদের ভাগ করে দেওয়া হবে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর)-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইউরোপে আশ্রয়ের জন্য এসেছে ১০ লাখের বেশি লোক। যা ২০১৪ সালের তুলনায় চার গুণ বেশি। আশ্রয়প্রত্যাশীদের অধিকাংশই মধ্যপ্রাচ্যের সিরিয়া, ইরাকের। এ ছাড়া ফিলিস্তিন, আফগানিস্তানের নাগরিকরাও আছে। আছে লিবিয়া ও সুদানের লোকরাও।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!