• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

১১ ‘স্বামী’র সঙ্গে প্রতারণা, তরুণী গ্রেপ্তার


নিউজ ডেস্ক ডিসেম্বর ১৮, ২০১৬, ১১:৫৫ পিএম
১১ ‘স্বামী’র সঙ্গে প্রতারণা, তরুণী গ্রেপ্তার

একজন, দুজন নয়, ১১ জনকে বিয়ে করেছেন ২৩ বছরের সুন্দরী তরুণী মেঘনা। এরপর ওই স্বামীদের টাকাপয়সা, স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান পণ্য হাতিয়ে পালিয়েছেন তিনি।

বেশ কয়েকটি অভিযোগ পাওয়ার পর ‘এই সুন্দরী পাখি’ ধরতে জাল পাতে পুলিশ। কিন্তু তিনি এতটাই ধুরন্দর যে দুঁদে পুলিশ অফিসারদেরও নাকানি-চুবানি খেতে হয়েছে মেঘনার কাছে।

ভারতের নয়ডার বাসিন্দা মেঘনা ভার্গব। থাকতেন বোন আর দুলাভাইয়ের সঙ্গে। সেখান থেকে পাড়ি দেন কেরলের। শিকারের খোঁজে নেমে পড়েন তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, তাকে এই কাজে সাহায্য করত মহেন্দ্র নামে এক যুবক। সে খুঁজে খুঁজে সেই পুরুষের খবর দিত মেঘনাকে যাদের বয়স হয়ে গেছে, অথচ বিয়ে হয়নি, ডিভোর্সি পাত্র। আবার যাদের গায়ের রং কালো, ভাল পাত্রী পাচ্ছেন না। 

এমনকি শারীরিক ভাবে অক্ষম পুরুষদের কাছে নিজের রূপের ললনায় মন ভুলিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিতেন। তবে খেয়াল রাখতেন এরা সবাই বিত্তবান কিনা! সেই বুঝেই সে দিকে পা বাড়াতেন মেঘনা।

প্রথমে তাদের সঙ্গে আলাপ জমাতেন, তার পর বিয়ের প্রস্তাব। বিয়ে করার পরই সুযোগ খুঁজতেন গয়না কী ভাবে হাতানো যায়। ঝোপ বুঝে কোপ, তার পরই পাখি ফুড়ুত্। মেঘনার রূপের জাল বিস্তার ছিল নয়ডা থেকে কেরল পর্যন্ত। এক এক করে ১১ জনকে তার রূপের ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা আর গয়না।

এ রকমই কেরলের লরেন জাস্টিন নামে এক ব্যক্তিকে ফাঁদে ফেলেন মেঘনা। বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যে ১৫ লাখ টাকার গয়না নিয়ে উধাও হয়ে যান তিনি। এরপর জাস্টিন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। কেরলে এ রকম বেশ কয়েকটি অভিযোগ আগেই পুলিশের কাছে জমা পড়েছিল। কিন্তু নাগালে পাচ্ছিল না অপরাধীকে।

খোঁজ নিয়ে পুলিশ জানতে পারে নয়ডাতেও এ রকম কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। আর প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে মিল রয়েছে। কেরল পুলিশ নয়ডা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। শুরু হয় যৌথ তল্লাশি। তল্লাশি অভিযানে নেমে পুলিশের হাতে আসে মহেন্দ্র নামে এক যুবকের নাম। তার খোঁজ নিয়ে গতিবিধির উপর নজর রাখতে শুরু করে পুলিশ। সুযোগ বুঝে তাকে ফাঁদে ফেলে গ্রেপ্তার করা হয়।

মহেন্দ্র গ্রেপ্তার হতেই আসল গল্প বেরিয়ে আসে। পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় মহেন্দ্র তাদের জানায় সে-ই নাকি মেঘনার জন্য বিত্তবান অসহায় পুরুষদের খুঁজে দিত। বিয়ের পর মেঘনা পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে তার ‘স্বামী’দের খাওয়াত। তার পরই সব কিছু হাতিয়ে পগারপার।

এই মহেন্দ্রকেই জেরা করে মেঘনার খোঁজ পায় পুলিশ। তার নয়ডার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে মেঘনাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় তার বোন-দুলাভাইকেও।

জেরায় মেঘনা জানিয়েছেন, তিনি চার জনকে বিয়ে করেছেন। বাকি বিয়ের কথা অস্বীকার করেন তিনি। তার দাবি, কাউকে প্রতারিত করেননি তিনি। বিয়ের পরই স্বামীদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় তাদের ছেড়ে চলে আসেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!