• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পেল জিহাদের বাবা


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ১২, ২০১৮, ০৯:২১ পিএম
২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পেল জিহাদের বাবা

ফাইল ফটো

ঢাকা: রাজধানীর শাহজাহানপুরে ওয়াসার পাইপে পড়ে নিহত শিশু জিহাদের পরিবারকে আদালতের আদেশ অনুযায়ী ২০ লাখ টাকার ‘চেক ও পে অর্ডার’ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

রোববার (১২ আগস্ট) এই তথ্য জানিয়েছেন এ সংক্রান্ত রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম ও জিহাদের বাবা নাসির উদ্দিন।

ব্যারিস্টার আবদুল হালিম বলেন, রেলওয়ের মহাপরিকলকে মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) সশরীরে হাইকোর্টে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগেই ফায়ার সার্ভিস ১০ লাখ টাকার পে-অর্ডার এবং রেলওয়ে ১০ লাখ টাকার চেক দিয়েছে জিহাদের পরিবারকে। কিন্তু এখনও চেক ও পে-অর্ডার নগদায়ন করতে পারিনি জিহাদের বাবা।

সোমবার (১৩ আগস্ট) নগদায়ন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। নগদায়ন হয়ে গেলে ১৪ আগস্ট অ্যাফিডেভিট দিয়ে বলব, টাকা পেয়েছে। এখন তাদের ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যহতি দেয়া যায়।

জিহাদের বাবা নাসির উদ্দিন বলেন, গত ৬ তারিখ আমাকে চেক দিয়েছে। আমি ও আমার স্ত্রী খাদিজার নামে উত্তরা ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় যৌথ অ্যাকাউন্ট খুলেছি। গত বৃহস্পতিবার চেক জমা দিয়েছি। সোমবার (১৩ আগস্ট) ব্যাংকে যাব, টাকা জমা হয়েছে কি না দেখব।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহম্মেদ খান জানান, আদালতের আদেশ মোতাবেক জিহাদের পরিবারকে অর্থ দেয়া হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেনকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাসার কাছে শাজাহানপুর রেলওয়ে মাঠের পাম্পের পাইপে পড়ে যায় জিহাদ। প্রায় ২৩ ঘণ্টা পর ২৭ ডিসেম্বর বিকেল ৩টার দিকে জিহাদকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

২৮ ডিসেম্বর জিহাদের পরিবারের জন্য ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে চিল্ড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম হাইকোর্টে রিট করেন।

২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শিশু জিহাদের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রুলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ৯০ দিনের মধ্যে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে ১০ লাখ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষকে ১০ লাখ টাকা করে (মোট ২০ লাখ টাকা) জিহাদের বাবা-মার কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!