• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

৫ রকমের ফুল যা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রয়োজন


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ৩০, ২০১৬, ০৪:৫২ পিএম
৫ রকমের ফুল যা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রয়োজন

সোনালীনিউজ ডেস্ক

ফুলের সৌন্দর্য এবং সুবাস দুটোই আমাদের মনকে করে তোলে চাঙা এবং বিষন্নতা মুক্ত। ফুলের সৌন্দর্যটাই এমন যে তা মানুষের মনকে খুব দ্রুত ভালো করে দেয়। ভালোলাগা, ভালোবাসা, বন্ধুত্ব সব কিছু প্রকাশের আলাদা ফুল রয়েছে যা মানুষের মনকে দোলা দিতে বাধ্য। কিন্তু আপনারা জানেন কি, ফুলের কাজ শুধুমাত্র সৌন্দর্য এবং সুবাস ছড়ানোতেই সীমাবদ্ধ নয়।

এর রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যগুণ। অনেকেই ফুল খাওয়ার কথা চিন্তাই করতে পারেন না। কিন্তু কিছু ফুল খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ভালো। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর এমনই কিছু ফুল।

গোলাপ:
ফুলের রাজা গোলাপ শুধু তার অতুলনীয় সৌন্দর্য এবং সুবাস দিয়েই মানুষের মন কাড়ে নি। গোলাপের রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্যগুণ। চীনের মানুষজন গোলাপফুল দিয়ে অনেক ভেষজ ঔষধও তৈরি করে থাকেন। গোলাপে রয়েছে ফেনোলিক যা একটি অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান।

এছাড়াও গোলাপে রয়েছে নানা ভিটামিন ও মিনারেল। গোলাপ ডায়বেটিস, হৃদপিণ্ডের সমস্যা এবং ক্যান্সারের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে।

জবা:
জবায় রয়েছে আন্থোসায়ানিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। জবাফুল খেলে উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়। এবং এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের দেহের কলেস্টোরল কমাতে বেশ সাহায্য করে। জবাফুল সালাদে খাওয়া যায়। এছাড়া জবা ফুলের চা অনেক বেশি জনপ্রিয় একটি পানীয়।

বেলী:
অতুলনীয় ঘ্রাণের বেলিফুলের রয়েছে অ্যান্টিকারসিনোজেনিক এবং অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান। এই সকল উপাদান আমাদের দেহের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করতে এবং নানা রোগের হাত থেকে আমাদের রেহাই পেতে সাহায্য করে। বেলি ফুল গ্রিন টী এবং সালাদের সাথে খাওয়া হয়।

গাঁদা:
গাঁদা ফুল অনেক প্রাচীনকাল থেকেই কাঁটাছেড়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এছাড়াও গাঁদাফুলে রয়েছে পিগম্যান্ট লুটেইন যা চোখের সুরক্ষায় কাজ করে এবং নানা রোগ থেকে আমাদের চোখকে রক্ষা করে থাকে। গাঁদাফুলের চাও বেশ জনপ্রিয় একটি পানীয়।

চন্দ্রমল্লিকা:
চন্দ্রমল্লিকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং মিনারেলসে ভরপুর একটি ফুল। এছাড়াও চন্দ্রমল্লিকায় আরও রয়েছে অ্যান্টিকারসিনোজেনিক ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান যা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে।

সতর্কতাঃ
ফুল খেতে চাইলে অবশ্যই ভালো কোনো স্থানে চাষ করা ফুল হলে ভালো হয়। কিংবা যেসকল ফুলের ওপর কীটনাশক পদার্থ দেয়া হয় নি এমন ফুল খাওয়া উচিৎ।

শুধুমাত্র ফুলের পাপড়ি খাওয়ার যোগ্য, অন্য কোনো অংশ নয়।

যে ফুলে অ্যালার্জি রয়েছে সে ফুল থেকে দূরে থাকাই ভালো।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!