• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

উদ্বাস্তু শিবির থেকে বিশ্বকাপের ফাইনালে, রুপকথার উত্থান এই তারকার


ক্রীড়া ডেস্ক জুলাই ১৪, ২০১৮, ০৯:৩৩ এএম
উদ্বাস্তু শিবির থেকে বিশ্বকাপের ফাইনালে, রুপকথার উত্থান এই তারকার

ঢাকা: ১৯৯১ সালে ক্রোয়েশিয়া স্বাধীনতা লাভ করে ক্রোয়েশিয়া। আর ১৯৯৮ বিশ্বকাপ ফুটবলে ক্রোয়েশিয়ার আবির্ভাব। প্রথমবার বিশ্বকাপে নেমেই সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছিল ক্রোয়েশিয়া। এটুকু বললেই বোধ হয় ক্রোয়েশিয়ার ফুটবল ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়!

এই প্রথমবার ক্রোয়েশিয়া বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলবে লুকা মডরিচের নেতৃত্বে। ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলপ্রেমীরা বলছেন, সঠিক হাতে রয়েছে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার ভার। মডরিচের চেয়ে ভালো কোনও নেতা পেত না তাদের দেশ। এই মুহূর্তে বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার ধরা হয় মডরিচকে।

তবে তাঁর এই স্বপ্নের উত্থানের পেছনের গল্পটা শুনলে চমকে যেতে হবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ক্রোয়েশিযায় একটা সময় চরম বিপর্যয় নেমে এসেছিল তাঁর পরিবারের ওপর। মাত্র ছয় বছর বয়সে সামনে থেকে দাদুকে খুন হতে দেখেছিলেন মডরিচ। মা-বাবা কাজের জন্য দিনের বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকতেন। তাই দাদুই ছিলেন ছোট্ট মডরিচের সবসময়কার সঙ্গী। এরপর শহরে একটা সময় সার্বিয়ার সেনার উৎপাত বাড়তে থাকে। বোমা-গুলির শব্দ হয়ে ওঠে রোজনামচা।

 উৎপাত একটা সময় মাত্রা ছাড়ালে মডরিচের গোটা পরিবার গিয়ে আশ্রয় নেয় উদ্বাস্তু শিবিরে। চলতে থাকে জীবন সংগ্রাম। তবে এসব কিছু কখনওই মডরিচকে ফুটবল থেকে দূরে সরাতে পারেনি। উদ্বাস্তু ক্যাম্প থেকে পাকা রাস্তা, গাড়ির গ্যারেজ যখন যেখানে পেরেছেন ফুটবলে লাথি মেরেছেন ক্রোয়েশিয়ার তারকা।

একবার এক সাক্ষাৎকারে মডরিচ বলেছিলেন, 'আমার প্রথম ফুটবল খেলা শুরু হয়েছিল একটা নষ্ট হয়ে যাওয়া বল দিয়ে।’ এরপর ওই হাওয়া ছাড়া বলটা দিয়েই দীর্ঘদিন পরিবারের সঙ্গে উদ্বাস্তু শিবিরে থাকার ঘটনাটা সচরাচর বলতে চান না মডরিচ। অতীত জীবনের অনেক ঘটনাই যেমন তিনি সাক্ষাৎকারের সময় তোলেন না।

তবে এখন তাঁর দেশকে নিয়ে বিশ্ব ফুটবলে সব চেয়ে বেশি আলোচনা। স্বাভাবিকভাবেই সেই দলের অধিনায়ক হওয়ার সুবাদে তাঁকে নিয়েও আলোচনা চলছে। একটা সময় ছোটখাটো চেহারার জন্য অনেক টিটকিরি শুনতে হত মডরিচকে। তার ওপর তিনি স্বভাবে বেশ লাজুক ছিলেন।

সেই লাজুক, ছোট চেহারার ছেলেটাই এখন বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার। আবার দেশের অধিনায়কও। রোববার আরেকটি ম্যাচ জিততে পারলেই ইতিহাস তৈরি করবে ক্রোয়েশিয়া। একই সঙ্গে ইতিহাসের অংশ হয়ে যাবেন মডরিচও। অপেক্ষা শুধু একটি জয়ের। ক্রোটরা কী পারবে স্নায়ুচাপের পরীক্ষা দিয়ে সেই জয় ছিনিয়ে নিতে? উত্তরটা দেবে সময়-ই।


সোনালীনিউজ/আরআইবি/আকন

Wordbridge School
Link copied!